খুলনার কয়রায় ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আলমগীর হোসেন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী এ মামলা করেছেন। মামলায় কয়রা থানা-পুলিশের এসআই মো. সালাউদ্দীনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি আলমগীর হোসেন বিএনপির কর্মী হওয়ায় বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এসআই সালাউদ্দীন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় গত বছরের ২৫ জুন রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহযোগীসহ তিনি বাদির বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রথমে বাদিকে সরকারবিরোধী হিসেবে গ্রেপ্তার করার ভয় দেখানো হয়। পরে এক লাখ টাকা দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করার একপর্যায়ে এসআই সালাউদ্দীন ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী সন্তানের সামনে তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। এ সময় বাদির স্ত্রী ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা এসআইকে দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে নেন। বাকি ৫০ হাজার টাকা কয়েকদিনের মধ্যে না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে আসেন তিনি। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ওই সময়ে একটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় ব্যবসায়ীকে। 

মামলার সাক্ষী ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী বলেন, ‘দারোগা সাহেব সকলের সামনে আমার স্বামীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি করেন। স্বামীকে বাঁচাতে ওই রাতে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে টাকা দিয়েছি তাকে। তবুও আমার স্বামীকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ হয়ে ডাকাতের মতো আচরণ করেছেন তিনি।’ 

জানতে চাইলে এসআই সালাউদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মামলার বাদী আলমগীর হোসেনকে আমি চিনি না। তিনি কেন আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন বুঝতেছি না।’ 

আদালতের পেশকার মাইনুল হোসেন জানিয়েছেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসআই ব এনপ আলমগ র হ স ন ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর ৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কানাইপুর শান্তিনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গুরুতর আহতরা হলেন- বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন (২৪), তার স্ত্রী জাহান্নাতুল বেগম (২১), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী তাহমিনা বেগম (২০), লালা মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (৩২), মন্নাফ মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া (৪৫), রুশন মিয়ার ছেলে সিতন মিয়া (৩৩), বারিক মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (৩০), শাহান উল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫), শাহান উল্লার ছেলে উমর আলীকে (৬০)। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

ঈশ্বরদীতে চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিনগর এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন আজ সকালে একই গ্রামের রুশন মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়ার কাছে বাকি থাকা ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া চান। আলমগীর ভাড়া না দিয়ে রুহুল আমীনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে দুইজনের পরিবার ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষ চলাকালে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে নবীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকেয়া রিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫০
  • শান্তিনগরে বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • শেখ হাসিনা ফিরে এলে সাধারণ মানুষই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে: মির্জা ফখরুল
  • শেখ হাসিনা ফিরে আসলে সাধারণ মানুষই ব্যবস্থা নেবে: মির্জা ফখরুল
  • রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
  • শিক্ষক রায়হান অভিযুক্ত হলেও নাম নেই অস্ত্র ব্যবসায়ীর
  • দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত