মাহতাব হোসেনের থ্রিলার উপন্যাস ‘৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম’
Published: 19th, February 2025 GMT
বিহারের পূর্ণিয়ায় সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়িতে হাজির হয়েছিল অরূপ। চোরাইপথে বিএসএফের বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করে সেই অভিযান, সেই রহস্য উন্মোচন কিংবা ঢাকার মোহাম্মদপুরের মেয়ে সায়মাকে উদ্ধারের ঘটনার পর অরূপ অনেকদিন নিজ মনে ঢাকায় করপোরেট চাকরিই করছিল। কিন্তু আবার অরূপের ডাক পড়লো নতুন এক রহস্য উন্মোচনে। রাতের ট্রেনে উঠে এক পাখি ডাকা কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে নামলো মফস্সল শহরের স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফরমে।
এটা ফ্ল্যাপের লেখা। মাহতাব হোসেনের নতুন উপন্যাস ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। থ্রিলার ধাঁচের এই উপন্যাসে উঠে এসে সুপ্রাচীন একটি জংশন এলাকার চিত্র, যেখানের সংস্কৃতির পাশাপাশি গল্প দৌঁড়াতে থাকে ঘোড়ার মতো। বিন্দুমাত্র বিরক্তির সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কথাসাহিত্যিক মাহতাব হোসেন বলছেন, আমার লেখার একটি পরিচিতি ধাঁচ রয়েছে। সে ধাঁচেও শুরু করলেও এবার লিখলাম সম্পূর্ণ গোয়েন্দা উপন্যাস। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পূর্বে রাজপুতও একটি গোয়েন্দা উপন্যাস ছিল বটে, কিন্তু আমি বলছি না। এই উপন্যাসে এক ধরনের মাদকতায় রাখার চেষ্টা করেছি যেন আচ্ছন্নের মতো পাঠক একটানা পড়ে শেষ করতে পারে৷
যথারীতি পাওয়া যাচ্ছে লেখকের উপন্যাস- রাজপুত, সাতচল্লিশের ট্রেন, দিলরুবা, সন্ধ্যার পরে,নগরে সমুদ্র।
ঢাকা অমর একুশে গ্রন্থমেলার অনিন্দ্য প্রকাশের স্টল নং ৭২৫-৭২৮ (মুক্তমঞ্চের সাথে), চট্টগ্রাম বইমেলার স্টল নং ২৯, খুলনা বইমেলার স্টল নং ৬১ তে পাওয়া যাচ্ছে ৷ এছাড়াও রকমারি ডটকমে সহজলভ্য।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।