বিহারের পূর্ণিয়ায় সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়িতে হাজির হয়েছিল অরূপ। চোরাইপথে বিএসএফের বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করে সেই অভিযান, সেই রহস্য উন্মোচন কিংবা ঢাকার মোহাম্মদপুরের মেয়ে সায়মাকে উদ্ধারের ঘটনার পর অরূপ অনেকদিন নিজ মনে ঢাকায় করপোরেট চাকরিই করছিল। কিন্তু আবার অরূপের ডাক পড়লো নতুন এক রহস্য উন্মোচনে। রাতের ট্রেনে উঠে এক পাখি ডাকা কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে নামলো মফস্সল শহরের স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফরমে।

এটা ফ্ল্যাপের লেখা। মাহতাব হোসেনের নতুন উপন্যাস ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। থ্রিলার ধাঁচের এই উপন্যাসে উঠে এসে সুপ্রাচীন একটি জংশন এলাকার চিত্র, যেখানের সংস্কৃতির পাশাপাশি গল্প দৌঁড়াতে থাকে ঘোড়ার মতো। বিন্দুমাত্র বিরক্তির সুযোগ নেই। 

এ বিষয়ে কথাসাহিত্যিক মাহতাব হোসেন বলছেন, আমার লেখার একটি পরিচিতি ধাঁচ রয়েছে। সে ধাঁচেও শুরু করলেও এবার লিখলাম সম্পূর্ণ গোয়েন্দা উপন্যাস। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পূর্বে রাজপুতও একটি গোয়েন্দা উপন্যাস ছিল বটে, কিন্তু আমি বলছি না। এই উপন্যাসে এক ধরনের মাদকতায় রাখার চেষ্টা করেছি যেন আচ্ছন্নের মতো পাঠক একটানা পড়ে শেষ করতে পারে৷ 

যথারীতি পাওয়া যাচ্ছে লেখকের উপন্যাস- রাজপুত, সাতচল্লিশের ট্রেন,  দিলরুবা, সন্ধ্যার পরে,নগরে সমুদ্র। 

ঢাকা অমর একুশে গ্রন্থমেলার অনিন্দ্য প্রকাশের স্টল নং ৭২৫-৭২৮ (মুক্তমঞ্চের সাথে), চট্টগ্রাম বইমেলার স্টল নং ২৯,  খুলনা বইমেলার স্টল নং ৬১ তে পাওয়া যাচ্ছে ৷ এছাড়াও রকমারি ডটকমে সহজলভ্য।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল উপন য স

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই  তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ