বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে। এতে জনজীবনে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে বড় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। খোদ রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী আশঙ্কাজনকভাবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। রাজধানীতে দিনেদুপুরে রোমহষর্ক ঘটনা ঘটছে। ঢাকার কিছু অঞ্চল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও আবার সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়ছে।

গতকাল বুধবার দলের রাজনৈতিক পরিষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, সরকারের কথিত অপারেশন ডেভিল হান্ট চলাকালে অপরাধ ও খুন রাহাজানির বিস্তার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকার অকার্যকর হয়ে পড়লে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের গুরুত্বপূর্ণ কাজও প্রবল ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত হতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে অরাজক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে সমন্বিতভাবে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, ননইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে কোনো কোনো মহল সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে কিনা– আজ এ প্রশ্নও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকার নানাভাবেই নিজেদের বিতর্কিত করে তুলছে। সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়িয়ে তুলতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে তিনি রাজনৈতিক ঐকমত্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। 

সভায় বক্তব্য দেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের