ঝামেলাটা শুরু হয়েছিল ২০২৪ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালিন। এরপর সময় যতো গড়িয়েছে ততো সেটা বেড়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় নারী দলের বিপক্ষের দুটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন সাবিনা খাতুনসহ ১৮ ফুটবলার। তারা ব্রিটিশ কোচের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করতে অস্বীকৃতি জানান।

বিষয়টি নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার আরব আমিরাত সফরের জন্য ২৩ সদস্যের নারী ফুটবল দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অনুমিতভাবেই সেই দল থেকে বাদ পড়েছেন বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলার। তবে অক্টোবরে সাফজয়ী দলের ৮ ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন দলে। তারা হলেন- মিলি আক্তার, ইয়ারজান বেগম, আফঈদা খন্দকার, কোহাতি কিসকু, আইরিন খাতুন, শাহেদা আক্তার রিপা ও স্বপ্না রানী।

এছাড়া প্রথমবারের মতো দলে জায়গা পেয়েছেন ১০ ফুটবলার। আর বাকি ১৩ জন হলেন শুরু থেকেই ক্যাম্পে থাকা।

আরো পড়ুন:

টানাপোড়ন শেষে বিদ্রোহের অবসান

হামজাকে রেখে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

তারুণ্য নির্ভর দলটির বিষয়ে কোচ বাটলার বলেছেন, ‘‘এটি ২৩ জন খেলোয়াড়ের মিশ্রিত দল, যারা সফরে যাচ্ছে। কিছু খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞ। কিছু একেবারেই নতুন। তরুণ্য নির্ভর একটি দল। তাদের সময় দিতে হবে। তাদের নিয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তারা ভুল করবে। আমরা সবাই ভুল করি। আর এভাবেই আমরা শিখি।’’

‘‘তাদেরকে সময় দেওয়া হবে। দুই দলে ভাগ করে খেলানো হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তারা সেখানে যাবে, কঠোর পরিশ্রম করবে, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ভালো পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করবে।’’ যোগ করেন কোচ।

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২ মার্চ খেলবে দ্বিতীয় ম্যাচ।

২৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল:

গোলরক্ষক:
ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার ও মেঘলা রায়।

রক্ষণভাগ:
সুরমা জান্নাত, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, অর্পিতা বিশ্বাস, জয়নব বিবি, মরিয়ম বিনতে ও কানোম আক্তার।

মধ্যমাঠ:
হালিমা আক্তার, স্বপ্না রানী, ঐশী খাতুন, মুনকি আক্তার, তনিমা বিশ্বাস, বন্যা খাতুন, অয়ন্ত বালা, শাহেদা আক্তার রিপা ও আইরিন খাতুন।

আক্রমণ ভাগ:
মোসাম্মৎ সুলতানা, সুরভী আকন্দ প্রীতি, নবীরণ খাতুন ও আকলিমা খাতুন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা

সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।

সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
  • মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা