নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
Published: 21st, February 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদী থেকে মাছ ধরার চারটি নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এবং নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল এবং মাঝারপাড়া নৌঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদীর মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া চার বাংলাদেশি জেলেকে এখনো ফেরত দেয়নি আরকান আর্মি।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে নৌকাসহ ৪ জেলেকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
বান্দরবানে অনুপ্রবেশকালে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, “টেকনাফ ফেরার পথে আমাদের ঘাটের মাছ ধরার দুইটি ট্রলারসহ ৯ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরকান আর্মি। এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া চার জেলেকেও এখনো ছাড়েনি তারা। এ ধরনের ঘটনা মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।”
শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়া থেকে দুইটি নৌকাসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাঝারপাড়া নৌঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর। তিনি জানান, তার ঘাটের কালাইয়া (ডাক নাম) ও জাফর আলমের মালিকানাধীন দুইটি নৌকা নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। এসময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। এতে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো.
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “জেলেদের ধরে নেওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে, ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারে ৫৮ জন জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান। ৯ অক্টোবর মিয়ানমার নৌ-বাহিনী তাদের অপহরণ করে। সে সময় মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর একটি টহলরত স্পিডবোট থেকে গুলি চালানো হলে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জেলেদের ফেরত আনা হয়।
সবশেষ গত বছরের ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ বাংলাদেশি জেলেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেরত এনেছিল।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ আর ক ন আর ম ন ক সহ
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
বাড়ির ভেতর ঢুকে বাবা-মাকে মারধরের পর এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বেপারীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মূল অভিযুক্ত আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত সঞ্চয় (২০) উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকার মোঘলটুলী গ্রামের রাফিউল ইসলাম রাফির ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর সঞ্চয়সহ ১৫-২০ জন লাঠি নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মালামাল লুট করে। এসময় বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে পার্শ্ববর্তী কামারদহ ফেলুপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক ও তার কাছে থাকা মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছিলেন সঞ্চয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্চয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। একটি বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ