‘মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আপনার গোল দরকার, মেসি আছে না!’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে এ কথা।কানসাসের চিলড্রেনস মার্কি পার্কের দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ায় খেলতে নামাটাই যেখানে দুঃসাধ্য ছিল, সেখানে মাঠে নেমে গোলও করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।তবে প্রথম লেগে দলকে ১–০ গোলে জেতাতে শুধু প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রস্তুতিই যথেষ্ট ছিল না, পাশাপাশি ঠান্ডাকে হারানোর প্রস্তুতিও নিতে হয়েছিল মেসিকে।

বিরূপ পরিবেশে মেসিদের খেলা নিয়ে অবশ্য কদিন ধরেই কথা হয়েছে অনেক। এমনকি ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি উচ্চতার তুষারপাতের আশঙ্কায় ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। খুব একটা লাভ অবশ্য হয়নি। কাল মেসিরা যখন মাঠে নামছিলেন, তখন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা পরে নেমে আসে মাইনাস ১৭–তে।

এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মেসি পরে ছিলেন লম্বা স্লিভসের জার্সি, থার্মাল লেগিংস (আঁটসাঁট প্যান্ট, যা পা ও শরীরের নিম্নাঙ্গকে উষ্ণ রাখে) এবং লোমের তৈরি গলাবন্ধনী। এটুকুও যথেষ্ট ছিল না, ঠান্ডা থেকে বাঁচতে স্পনসর অ্যাডিডাসের লোগো–সংবলিত গ্লাভসও পরে ছিলেন মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে অবশ্য উলের তৈরি হ্যাটও পরে থাকতে দেখা গেছে তাঁকে। খেলা শুরুর আগে সেটি খুলে রাখেন।

আরও পড়ুনমাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফুটবল, মেসিদের জন্য মায়া হচ্ছে মাচেরানোর ১৮ ঘণ্টা আগে

এমন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করেও শীতকে মেসি পুরোপুরি বশ করতে পেরেছিলেন তা নয়। খেলা চলাকালে বিভিন্ন সময় মেসির হাত ও মুখের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল কাজটা কতটা কঠিন। এরপর ম্যাচের শেষে সাইড বেঞ্চের দিকে গিয়ে মেসিকে গ্লাভসের ভেতর কিছু নিতে দেখা যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, মেসি হয়তো সে সময় তাঁর গ্লাভসের ভেতর হাত উষ্ণ রাখার জন্য বিশেষ জেল লাগিয়ে নিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ায় সেটি বেশ আলোচনারও জন্ম দিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য। আমি এটা ভাবতেই পারি না। সে আসলেই একজন গোট (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম)।’

আরও পড়ুনমাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মেসির গোলে জিতল মায়ামি২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্পোর্টিং কানসাস সিটির বিপক্ষে প্রথম লেগ জয়ের পর মেসিদের সামনে এখন ফিরতি লেগ। ফ্লোরিডায় ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফিরতি লেগে স্পোর্টিং কানসাস সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। রাউন্ড ওয়ান থেকে জয়ী দলগুলো নাম লেখাবে শেষ ষোলোয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসন সংখ্যা কমানোসহ অর্গানোগ্রামে আরো ১৮টি নতুন বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইনস্টিটিউট চালু এবং ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

ল্যাবভিত্তিক বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ১৮টি বিভাগ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো—ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, পুরকৌশল বিভাগ এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো— অপরাধবিদ্যা বিভাগ। 

পাশাপাশি চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এগুলোর গঠন কাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে। 

এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুইজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ম্যানেজার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং একজন ক্লিনার। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্রের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, একজন অতিথি অধ্যাপক, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ম্যানেজার হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার একজন। 

১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, “আমরা মিটিংয়ে এগুলো সুপারিশ করেছি। অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, এমন না। একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন দরখাস্ত দেওয়া হয়, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

তিনি আরো বলেন, “ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। তারা ল্যাববেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেছেন, “অনেকগুলো সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনই না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাস হলে বিস্তারিত বলতে পারব।”

ঢাকা/এমদাদুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিমামান্দা এনগোজি আদিচির নারীবাদ
  • ভোররাতে রণক্ষেত্র: নরসিংদীতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ