একুশে বইমেলায় সাদিক হাসানের ‘আজাদির মুসাবিদা’
Published: 21st, February 2025 GMT
কাশ্মীর বলতে দুনিয়া আসলে কাশ্মীর উপত্যকাকেই জানে। অথচ কাশ্মীরের ভৌগোলিক অবস্থান আরো বিস্তৃত। বিভিন্ন সময়ে কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে বর্তমান মানচিত্রে এসে উপনীত হয়েছে কাশ্মীর। জম্মু এবং কাশ্মীর নামক দুটি আলাদা দেশীয় রাজ্য মিলে একটা ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছিল ১৯ শতকে।
হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে, দেশভাগের পর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চে গণহত্যা চালিয়ে বদলে দেওয়া হয়েছে জনমিতি। ১৯৪১-এর দিকে ৪১% মুসলিম অধ্যুষিত জম্মুতে এখন মুসলমানদের সংখ্যা নেমে এসেছে ১১%-এ।
অথচ সেখানে হিন্দুরা অক্ষত থেকেছে। আর কাশ্মীর উপত্যকায় মুসলিমদের ওপর কোনো জুলুম নেমে এসেছে তা আর নতুন করে বয়ান করবার প্রয়োজন নেই। মনে মনে খালিদ ভাবল, এই পৃথিবীতে শুধু মুসলিমরা ব্যতীত সবাই মানবিক অধিকার পাওয়ার হকদার। কেননা শুধু কাশ্মীর নয়-ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তানে এখনো দলে দলে মৃত্যুবরণ করছে মুসলমানরা।
এটা ফ্ল্যাপের লেখা। লেখক সাদিক হাসানের প্রথম উপন্যাস ‘আজাদির মুসাবিদা’। বইমেলায় প্রকাশিত এই বইটি কাশ্মীরের ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর বিশ্লেষণধর্মী লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে।
ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত উপন্যাসটি বইমেলায় ২৮ নম্বর প্যাভিলিয়ন পাওয়া যাবে। এ বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন নাওয়াজ মারজান। বইয়ের মূল্য ৭০০ টাকা টাকা, ২৫ শতাংশ ছাড়ে বইটি ৫২৫ টাকায় পাওয়া যাবে। পাশাপাশি রকমারি, ওয়াফিলাইফেও পাওয়া যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।