প্রকৃত পুরুষ জীবনসঙ্গীকে পিছিয়ে রাখতে চান না: পায়েল
Published: 22nd, February 2025 GMT
“আমি এখনো আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকি। নিজের অনেক কাজ থাকে, নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেও ভালোবাসি। ভালো আছি। তাই একা থাকাটা আমার কাছে কোনো চ্যালেঞ্জ নয়।”— ভারতীয় একটি গনমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী পায়েল সরকার।
১৯৮৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন পায়েল সরকার। এ শহরেই তার বেড়ে ওঠা। ২০০৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন পায়েল। একই বছর ‘শুধু তুমি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন। এরপর অভিনয়ে ডুবে যান। ফলে এখনো বিয়ে করেননি বিয়াল্লিশের পায়েল।
পায়েলের বিয়ে নিয়ে তার ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু প্রেম-বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন এই অভিনেত্রী? একটি ঘটনা উল্লেখ করে পায়েল বলেন, “কমলদা (পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি) একবার আমাকে বলেছিলেন, ‘ক্যারিয়ার তৈরি করতে হলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করা যাবে না।”
তাহলে কি পরিচালকের পরামর্শ মেনে বিয়ে করছেন না পায়েল? অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে তার বক্তব্যে। পায়েলের মতে, “আবার জীবনে এ রকম কেউও থাকতে পারেন, যে হয়তো আমাকে আমার সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারে সাপোর্ট করে গেলেন। একজন প্রকৃত পুরুষ কখনো তার জীবনসঙ্গীকে পিছিয়ে রাখতে চাইবেন না। বরং সাপোর্ট করবেন, সঙ্গীকে সব সময় এগিয়ে দেবেন। এ রকম মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়!”
তাহলে মনেরমতো মানুষ কি খুঁজে পেয়েছেন পায়েল? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “দেখা যাক, ঠিক সময়ে জানতে পারবেন।”
তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে গুঞ্জন চাউর হয়েছিল, একজন প্রবাসীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন পায়েল। কিন্তু এই খবর উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানান, কোনো প্রবাসীকে বিয়ে করছেন না। বরং কলকাতার কোনো ছেলেকে বিয়ে করবেন পায়েল।
বর্তমানে পায়েলের হাতে চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ‘দি অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। তবে ‘বিষণ্ন’, ‘এখানে অন্ধকার’, ‘আপনজন’ সিনেমার কাজ নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন–পীড়ন আরও বৃদ্ধি করছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পর্যটক হিসেবে তাঁরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেহেলগামে গিয়েছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জবাবে ভারত সামরিকভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ভারত শিগগিরই সামরিক হামলা চালাতে পারে।
এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হয়রানি করছে। তারা এটিকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান’ বলে দাবি করছে।
মোদির বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। ‘পাকিস্তানি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা অনেক সময়েই হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে।
উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক—এই দুই রাজ্যে মুসলিমদের হত্যার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের খবরে সেগুলোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, যা অনেকটা সমষ্টিগত শাস্তির মতো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি