“আমি এখনো আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকি। নিজের অনেক কাজ থাকে, নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেও ভালোবাসি। ভালো আছি। তাই একা থাকাটা আমার কাছে কোনো চ্যালেঞ্জ নয়।”— ভারতীয় একটি গনমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী পায়েল সরকার।

১৯৮৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন পায়েল সরকার। এ শহরেই তার বেড়ে ওঠা। ২০০৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন পায়েল। একই বছর ‘শুধু তুমি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন। এরপর অভিনয়ে ডুবে যান। ফলে এখনো বিয়ে করেননি বিয়াল্লিশের পায়েল।

পায়েলের বিয়ে নিয়ে তার ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু প্রেম-বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন এই অভিনেত্রী? একটি ঘটনা উল্লেখ করে পায়েল বলেন, “কমলদা (পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি) একবার আমাকে বলেছিলেন, ‘ক্যারিয়ার তৈরি করতে হলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করা যাবে না।”

তাহলে কি পরিচালকের পরামর্শ মেনে বিয়ে করছেন না পায়েল? অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে তার বক্তব্যে। পায়েলের মতে, “আবার জীবনে এ রকম কেউও থাকতে পারেন, যে হয়তো আমাকে আমার সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারে সাপোর্ট করে গেলেন। একজন প্রকৃত পুরুষ কখনো তার জীবনসঙ্গীকে পিছিয়ে রাখতে চাইবেন না। বরং সাপোর্ট করবেন, সঙ্গীকে সব সময় এগিয়ে দেবেন। এ রকম মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়!”

তাহলে মনেরমতো মানুষ কি খুঁজে পেয়েছেন পায়েল? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “দেখা যাক, ঠিক সময়ে জানতে পারবেন।”

তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে গুঞ্জন চাউর হয়েছিল, একজন প্রবাসীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন পায়েল। কিন্তু এই খবর উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানান, কোনো প্রবাসীকে বিয়ে করছেন না। বরং কলকাতার কোনো ছেলেকে বিয়ে করবেন পায়েল।

বর্তমানে পায়েলের হাতে চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ‘দি অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। তবে ‘বিষণ্ন’, ‘এখানে অন্ধকার’, ‘আপনজন’ সিনেমার কাজ নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন