টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর মামলায় আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 22nd, February 2025 GMT
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক দুলু ও পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মিঠু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গওহরডাঙ্গা এলাকার চৌরঙ্গী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো.
আরো পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে আ.লীগের সংঘর্ষ, আহত ৮
আরো পড়ুন:
গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী-সতিন গ্রেপ্তার
পদ্মার চরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার তিন যুবকের স্বীকারোক্তি
ওসি মো. খোরশেদ আলম বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় দুই আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হক দুলু ও মিঠু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।”
গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনে লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আওয়ামী লীগ কর্মীভেবে সাফায়েত গাজী নামে একজনকে আটক করে। তখন পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা ৪৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন এসআই রাব্বি মোরসালিন।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।