বিদেশে গেলেই লোকে ভাবে পাত্রের খোঁজে গিয়েছি: পায়েল
Published: 23rd, February 2025 GMT
বয়স হলো ৪০। এখনও বিয়ে করেননি অভিনেত্রী পায়েল। ফলে কলকাতার অভিনেত্রী পায়েল সরকারের বিয়ে নিয়ে তার ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। অভিনেত্রীর ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্তদের এতটাই আগ্রহ যে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পায়েল বলেছেন, তিনি দেশের বাইরে ঘুরতে গেলেও মানুষ মনে করে- পাত্রের সন্ধানে গেছেন।
এই নায়িকা বলেন, আমি আমেরিকায় একটা পুরস্কার নিতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি পোস্ট করেছিলাম। সেই ছবি দেখার পর অনেকেই বলা শুরু করল, আমি নাকি পাত্র খুঁজতে আমেরিকায় গিয়েছি! অথচ ছবিটা নিয়ে কেউ কথা বললো না। তাই মনে হয়, অভিনেত্রীদের কাজের তুলনায় ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই মানুষের আগ্রহ বেশি। সেদিক থেকে দেখলে, বাঙালির আধুনিক, উন্মুক্ত চিন্তাধারাটা কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়।
কিন্তু প্রেম-বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন এই অভিনেত্রী? একটি ঘটনা উল্লেখ করে পায়েল বলেন, “কমলদা (পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি) একবার আমাকে বলেছিলেন, ‘ক্যারিয়ার তৈরি করতে হলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করা যাবে না।”
তাহলে কি পরিচালকের পরামর্শ মেনে বিয়ে করছেন না পায়েল? অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে তার বক্তব্যে। পায়েলের মতে, “আবার জীবনে এ রকম কেউও থাকতে পারেন, যে হয়তো আমাকে আমার সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারে সাপোর্ট করে গেলেন। একজন প্রকৃত পুরুষ কখনো তার জীবনসঙ্গীকে পিছিয়ে রাখতে চাইবেন না। বরং সাপোর্ট করবেন, সঙ্গীকে সব সময় এগিয়ে দেবেন। এ রকম মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়!”
তবে কি মনের মতো মানুষ কি খুঁজে পেয়েছেন পায়েল? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “দেখা যাক, ঠিক সময়ে জানতে পারবেন।”
এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে গুঞ্জন চাউর হয়েছিল, একজন প্রবাসীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন পায়েল। কিন্তু এই খবর উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানান, কোনো প্রবাসীকে বিয়ে করছেন না। বরং কলকাতার কোনো ছেলেকে বিয়ে করবেন পায়েল।
বর্তমানে পায়েলের হাতে চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ‘দি অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। তবে ‘বিষণ্ন’, ‘এখানে অন্ধকার’, ‘আপনজন’ সিনেমার কাজ নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প য় ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে