বিআইএর সভাপতি সাঈদ, সহ-সভাপতি আদিবা-সাখাওয়াত
Published: 23rd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২৬ মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসেবে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক আদিবা রহমান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন (লিন্টু)।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেনের সভাপতিত্বে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিআইএর কনফারেন্স রুমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন বোর্ডের অন্য দুজন সদস্যের মধ্যে নিজাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন বোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিআইএর সচিব ওমর ফারুক।
সাঈদ আহমেদ বর্তমানে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ চেক টেকনোলজি লিমিটেড ও পিউরিটি ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ভ্যানটেজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিটি হোমস্ লিমিটেড ও আল-তাইয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এছাড়াও তিনি আহমেদ শিপিং লাইন্স, আহমেদ ইনল্যান্ড শিপিং এজেন্সি, এ.
সাঈদ আহমেদ দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (পদ্মা ব্যাংক লি.) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটি ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান এবং একজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার। তিনি বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।
একই সঙ্গে তিনি লায়ন্স ক্লাব অফ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি-২, বাংলাদেশ এর রিজিওন চেয়ারপারসন। তিনি ঢাকা ক্লাব লি., গুলশান সোসাইটি, উত্তরা ক্লাব লি., কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব লি., বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লি., চট্টগ্রাম বোট ক্লাব লি. এবং অল কমিউনিটি ক্লাব লি. এর স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশন এবং রাজধানী শুটিং ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
সাঈদ আহমেদ শরীয়তপুর জেলা সমিতির পৃষ্ঠপোষকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ইতোপূর্বে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে (২০১০-২০১২) মেয়াদে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং (২০১৯-২০২৪) মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট আদিবা রহমান বর্তমানে ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ও তিনি ডেল্টা লাইফ সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজী সাখাওয়াত হোসেন (লিন্টু) বর্তমানে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমসিও ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (প্রাইভেট লি.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
নির্বাহী কমিটির অন্য ১৭ জন সদস্য হলেন- আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, চেয়ারম্যান, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, মজিবুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, হোসেন আখতার, চেয়ারম্যান, সিটি ইন্স্যুরেন্স, মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেলাল আহমেদ, পরিচালক, জনতা ইন্স্যুরেন্স, তায়েব বিন ইউসুফ, পরিচালক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, আরিফ সিকদার, পরিচালক, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আমিন হেলালী, ভাইস-চেয়ারম্যান, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারজানাহ চৌধুরী, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, মো. ইমাম শাহীন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ড. এ কে এম সারোয়ার জাহান জামিল, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, মো. আব্দুল মতিন সরকার, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সৈয়দ বদরুল আলম, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএম ইউসুফ আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মো. জালালুল আজিম, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মো. কাজিম উদ্দিন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এস এম নূরুজ্জামান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ল ইন স য র ন স ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে