শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবাইকে এক আর্থিক সেবায় বেঁধেছে প্রাইম ব্যাংক। শিক্ষকের বেতন গ্রহণ, শিক্ষার্থীর বেতন পরিশোধ, অভিভাবকদের শিক্ষাঋণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেনদেন সবই মিলছে এখন ব্যাংকটির প্রাইম একাডেমিয়া সেবায়। শিক্ষা নিয়ে এটি প্রাইম ব্যাংকের একটি নতুন আর্থিক সেবা। ব্যাংকটি বেশ আগে থেকে শিক্ষাসংক্রান্ত নানা সেবা দিয়ে এলেও সব সেবাকে এক সেবার আওতায় এনেছে গত বছরের মে মাসে।

নতুন এই সেবা চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে প্রায় ৭০০ প্রতিষ্ঠান এই সেবার গ্রাহক হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই অনলাইনে বা প্রাইম ব্যাংকের যেকোনো শাখা বা সেন্টারে গিয়ে এই সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংকের ইসলামি ধারার সেবায়ও এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে সেবাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।

নতুন এই সেবার বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুশিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবার প্রয়োজন হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক—সবাই এই সেবার গ্রাহক। এ জন্য শিক্ষাসংক্রান্ত সব সেবাকে এক পণ্যের বা এক ছাতার অধীনে নিয়ে এসেছি আমরা। এরই মধ্যে ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে এই সেবা গ্রহণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।’

নাজিম এ চৌধুরী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক স ব এই স ব

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ