রোজার আগেই লেবুর বাজার চড়া হয়ে গেছে। এখন ৪০ টাকার কমে ১ হালি লেবু পাওয়া যাচ্ছে না। নানা জাতের ১ হালি লেবুর দাম এখন ৪০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। এক পিস লেবুর দাম পড়ে সর্বনিম্ন ১০ টাকা। ফলে লেবুর ক্রেতাও কমেছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে লেবুর চড়া দামের চিত্র পাওয়া গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। রমজান মাসে ইফতারে লেবুর শরবত অন্যতম প্রধান পানীয়। ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার কাছে ইফতারে লেবুর শরবতের চাহিদা থাকে। গত দুই সপ্তাহে লেবুর দাম হালিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

আজ সোমবার সকালে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন তিন জাতের লেবু বেশি মিলছে। আকারে বড় শরবতি লেবুর ১ হালির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ১টির দাম পড়ে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। শরবতি লেবু কলম্বো লেবু নামেও পরিচিত। এই লেবুকে সিলেটের লেবু হিসেবেও বলেন অনেক বিক্রেতা।

আরেকটু কম দামে লেবু চান। তাহলে চোখ ফেলতে হবে ছোট আকারের কাগুজি লেবুর দিকে। কারওয়ান বাজারে ১ হালি কাগুজি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

আরও কম দামে চাইলে এখন টাঙ্গাইলের এলাচি লেবুই ভরসা। এলাচি লেবুর দাম হালিপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। ২০ বছর ধরে কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের (সবজির) ব্যবসা করেন কামাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এখন লেবুর মৌসুম নয়, তাই দাম চড়া। আড়তে ১ পিস লেবু ৯ টাকার কমে মিলছে না। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, রোজায় লেবুর চাহিদা ৮ থেকে ১০ গুণ বেড়ে যায়। মৌসুম নয়, এমন সময় রোজার মাস পড়েছে। তিনি জানান, আগামী চৈত্র ও বৈশাখ মাসে লেবুর ভরা মৌসুম।

লেবুর মৌসুম শুরু হতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে।
আজ সকালে রাজধানীর হাজিক্যাম্প এলাকার বাজার গিয়েও দেখা গেছে, লেবুর দাম বেশ চড়া। এই বাজারে এলাচি লেবুই বেশি। বিক্রেতারা ১ হালি এলাচি লেবুর দাম হাঁকছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আবার শরবতি লেবু ১০০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না।

বিক্রেতারা জানান, বর্ষার সময় লেবুর ভরা মৌসুম। তবে বৈশাখ মাসে বৃষ্টি বাদল শুরু হলেই লেবুর মৌসুম শুরু হতে থাকে। শুকনা মৌসুমে লেবুর উৎপাদন তলানিতে থাকে।

এ বিষয়ে উত্তরার বাসিন্দা ও চাকরিজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সামনে রোজা আসছে। রোজায় বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারে লেবুর শরবত দিয়ে ইফতার করেন। কিন্তু এবার লেবুর বেশি দামের কারণে ইফতার থেকে লেবুর শরবত বাদ দিতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ক র কম ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে

শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না

গরমে পেটের পীড়া তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পানিশূন্যতা। গ্রীষ্মকালে প্রয়োজনের তুলনায় যেমন বেশি পানি খাওয়া হয়, তেমনি তা দ্রুত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়েও যায়। যে কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানির অভাবে খাবারও ঠিকঠাক হজম হয় না। তৈরি হতে পারে কোষ্টকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি।

অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাবেন না

গরমে ঠান্ডা পানি ও খাবারের লোভ সামলানো দায়। বাইরে থেকে এসে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি কিংবা জুস দেখলেই অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু এমন সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুনঠান্ডা-কাশি হলে কি টুথব্রাশ বদলানো জরুরি১০ এপ্রিল ২০২৫বাইরের খাবার বাদ দিন

গরমকালে রাস্তার পাশে দেখা যায় শরবত, জুস কিংবা কুলফি মালাইয়ের দোকান। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো এ ধরনের পানীয় বা খাবার থেকে তৈরি হতে পারে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রকম পেটের পীড়া।

খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করবেন না

গ্রীষ্মকালে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম পেট একেবারেই নিতে পারে না। বিশেষ করে কিছুক্ষণ পরপর পানি খাওয়ার ফলে পেট সারা দিন ভরা ভরা লাগে। ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় খাবারের অনিয়মে। এই অনিয়ম থেকে হতে পারে পেটের পীড়া।

সূর্যের তীব্রতা থেকে নিজেকে আড়াল রাখুন

সারা বছর যাঁরা ছোটখাটো পেটের পীড়ায় ভোগেন, গ্রীষ্মকালে তাঁদের ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। কারণ, গ্রীষ্মকালে সূর্যের তীব্র আলো শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। সেই প্রদাহ থেকে পেটে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুনগরমে যেসব রঙের পোশাক পরলে আরাম পাবেন২২ এপ্রিল ২০২৫গরমেও সুস্থ থাকার উপায়

পর্যাপ্ত পানি খান: গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এই পানির অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন তেষ্টা বুঝে পানি খান। পানির পরিবর্তে ডাবের পানি, ঘরে তৈরি জুস, লেবুর শরবত খেতে পারেন। তবে কৃত্রিম মিষ্টি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

মৌসুমি ফল খান: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু থেকে শুরু করে তরমুজ, বেল, বাঙি—বাহারি ফলের মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এসব ফল পেট শান্ত রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফলের রস পানিশূন্যতা দূর করতেও সহায়ক।

বাসার খাবার খান: গরমে বাইরের খাবার শরীরে বেশ বাজে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ঝাল, তেল, মসলা শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার। এতে পেটের ওপর চাপ কম পড়বে।

ঠান্ডা খেতে চাইলে: ঘরের বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা কিছু খাওয়া কখনোই ভালো নয়। খাইতে চাইলে কিছুটা সময় নিন। তবে ঠান্ডা খাবার বলতে কেবল আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয়ই নয়, বেছে নিতে পারেন দই, ঘরে তৈরি লাচ্ছি অথবা মালাই।

খাবারে অনিয়ম করবেন না: গ্রীষ্মকালে যতই পেট ভরা লাগুক না কেন, সময়মতো তিন বেলা খাবার খেতে ভুলবেন না। সময়মতো খাবার খেলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায় সহজে।

সূত্র: জেম হসপিটাল ও কাইজেন গ্যাস্ট্রো কেয়ার

আরও পড়ুনগরমে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস খাওয়া কি ঠিক০৬ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে উপকারী ছাতুর নানা পানীয়
  • অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে