ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজের চেষ্টা বিসিবির
Published: 25th, February 2025 GMT
জুলাই-আগস্টে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান শাহরিয়ার নাফিস ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন এই তথ্য।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপলক্ষ্যে সম্প্রতি দুবাইয়ে গিয়েছিলেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে সম্ভাব্য সিরিজির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সিরিজের বিষয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
শাহরিয়ার নাফিজ বলেন, ‘বিসিবি ও পিসিবি সম্ভাব্য সিরিজের বিষয়ে আলোচনা করছে। দুই বোর্ডই সিরিজের বিষয়ে ইতিবাচক।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে এপ্রিলের মাঝামাঝি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে। এরপর মে মাসে আইসিসির নির্ধারিত সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ আছে ওই সিরিজে।
জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আছে বাংলাদেশের। ওই সিরিজে দুটি টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-২০ খেলবে বাংলাদেশ। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ভারতের।
সেপ্টেম্বরে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপ আছে। অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট ও তিনটি টি-২০ খেলার কথা বাংলাদেশের। এরপর যদি সম্ভব হয় নভেম্বরের শেষ নাগাদ বিপিএলের সূচি রাখতে চায় বিসিবি। সব মিলিয়ে চলতি বছর বেশ ব্যস্তই যাবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘর র ম ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন