নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অপহরণের পর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে মো. বাইজিদ আকন নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের একদিন পর ইটভাটার ঝোপ থেকে   শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুইড়াস্থ সাহাবুদ্দিন হাজীর ইট ভাটার ঝোপের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো.

বাইজিদ আকন ফতুল্লা থানার ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের ছেলে।

এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ফেরদৌস আলীকে (২৯) করিমগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ফেরদৌস আলী কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার খাকশ্রী থানার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, নিহত শিশু ও ঘাতক একই বাড়িতে পাশাপাশি ভাড়া থাকতো। সোমবার সন্ধ্যার দিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে ফেরদৌস রেলস্টেশনস্থ বাসা থেকে বের হয়।

পরে রাত বারোটার দিকে নিহত শিশুর বাবাকে ঘাতক ফেরদৌস ফোন করে জানায় যে ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে অন্যথায় হত্যা করা হবে। তারা টাকা দিতে চাইলেও পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ জিডি করেন। নিখোঁজ জিডির সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাত সাতটার দিকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ঘাতক ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার  মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে  অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের  মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার  নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০),  বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন  বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন)  বন্দর থানায়  মামলা করেছেন।

মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি  ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে  তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা  পুলিশ  ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে বন্দর  থানার ওসি  তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে।  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার