স্তনের বাঁ পাশে একটা ফোড়ার মতো হয়েছে, সমাধান কী?
Published: 26th, February 2025 GMT
প্রশ্ন: আমি একজন নারী। বয়স ৩৪। তিন সন্তানের মা। আমার স্তনের বাঁ পাশে একটা ফোড়ার মতো হয়েছে। আগেও একবার এমনটা হয়ে সেরে গেছে। কিন্তু এবার দুই মাস হয়ে গেল, সারছে না। মাঝেমধ্যে ব্যথা হয়, বাকি সময় খুব একটা ব্যথা নেই। আমার এখন কী করা উচিত?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, লালমনিরহাট
পরামর্শ: নারীশরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ স্তন। সংবেদনশীল অঙ্গে কোনো জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হয়। আপনার ফোড়াটি দুই মাস পার হতে চলেছে চিকিৎসাহীন। এভাবে চললে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। জটিলতা কম থাকলে ওষুধে উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু জটিলতা বেড়ে গেলে তখন সার্জারি দরকার পড়ে। তাই কোনো সংকোচ না করে, প্রাথমিক করণীয় হিসেবে স্থানীয় ব্রেস্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে পারেন। চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফোড়ায় পুঁজ থাকলে তাও বের করে নিন। আর আক্রান্ত স্থানে দিনে তিনবার হালকা গরম সেঁক নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানির বোতল কিংবা নরম কাপড় দিয়ে সেঁক নিতে হবে। এই চিকিৎসায় উপশম না হলে যত দ্রুত সম্ভব উন্নতমানের হাসপাতালে এসে একজন ব্রেস্ট সার্জনের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে সুচিকিৎসা গ্রহণ করুন।
আরও পড়ুনব্রেস্ট ফিডিং নিয়ে যা জানা উচিত০২ আগস্ট ২০২২.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি