পাবনার সদর উপজেলায় ১২টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে চারটি অবৈধ ইটভাটাকে সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী সদর উপজেলার চর ভবানীপুর, চর বাঙ্গাবাড়িয়া, ভগীরথপুর ও শানিকদিয়ার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর।

এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, পাবনা জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সার্বিক সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) রেজওয়ান-উল-ইসলাম। অভিযানে ১২টি ইটভাটাকে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং চারটি ইটভাটা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়।

জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চর বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার এম.

এম.বি ব্রিকস, এম.এম.এ ব্রিকস, এইচ.আর.এম ব্রিকস, এম.এস.বি ব্রিকস, ভবানীপুর এলাকার এম.কে.বি ব্রিকস, এস.অ্যান্ড.বি ব্রিকস, এস.অ্যান্ড.বি-২ ব্রিকস, এম.আর.বি-২ ব্রিকস, শানিকদিয়ার এলাকার আর.এ.এফ ব্রিকস, কে.এইচ.বি ব্রিকস, ভগীরথপুর এলাকার এম.আর.বি ব্রিকস এবং এ.এইচ.বি ব্রিকস। 

এছাড়া উদ্ধেচকৃত চারটি ভাটা হলো- চর বাঙ্গাবাড়িয়ার পি.এম.বি ব্রিকস ও এ.অ্যান্ড.বি ব্রিকস, ভগীরথপুর এলাকার এস.এম.বি ব্রিকস এবং এম.এইচ.বি ব্রিকস।

এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর, পরিদর্শক আব্দুল মমিনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/শাহীন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র এল ক র ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত ২০

ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক কুকুর পথচারীদের আক্রমণ করে কামড় দেয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানসহ অন্তত ১৫ জনকে হাসপাতালে টিকাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামদহ মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপু মিয়া বলেন, ‘বিকেলে আমাদের এলাকায় এক পথচারীকে একটি পাগলা কুকুর কামড় দেয়। কুকুরটি কয়েকজন পথচারীকে কামড় দিয়েছে, এমনকি বাড়ির ভেতরে ঢুকে শিশুদেরও আক্রমণ করেছে। দীর্ঘদিন শহরের বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে টিকা দেওয়া হয় না। এখন শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু হামদহ মোল্লাপাড়াই নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাগলা কুকুর মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। সন্ধ্যায় সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সামনে এক শিশুকে বাঁচাতে গেলে জামির নামে এক যুবক কুকুরের কামড়ে আহত হন। একইভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ঢুকে শাহিনুর রহমান নামে এক কর্মকর্তাকে কামড় দেয় কুকুরটি। আর কাঠপট্টি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাকও কুকুরের কামড়ে আহত হন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএএও শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অফিস শেষ করে গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল নিচ্ছিলাম। হঠাৎ গাড়ির নিচ থেকে একটি কুকুর দ্রুত আমার দিকে আসে। তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটি আমার পায়ে কামড়ে দেয়। পরে অনেক চেষ্টা করে কুকুরটিকে তাড়াতে পারি। পরে হাসপাতালে এসে টিকা নিয়েছি।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাক বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর থেকে ফিরে সড়ক ভবনসংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি কুকুর এসে আমার ডান হাতে কামড় দেয়। এখন হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।’

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছোয়া ইসরাইল বলেন, কুকুরে কামড়ানো রোগীদের টিকাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর এলাকার বেওয়ারিশ কুকুরদের ধরে টিকা দেওয়া হতো। করোনার সময় থেকে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ