সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে দেওয়া হবে। এছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপহার হিসেবে ঈদ উপলক্ষ্যে এক কোটি নিম্নবিত্ত পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময়’ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্য উপদেষ্টা রমজান মাসে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা চাল যাতে সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়, সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করার জন্য ঢাকা বিভাগের সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিতরণে স্থানীয় পর্যায়ে যেসব সমস্যা আছে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। উপদেষ্টা কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং অবশিষ্ট সমস্যাগুলো দ্রুতই সমাধানের আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে খাদ্যশস্য বিতরণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। এজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারের সুলভ এবং বিনামূল্যে দেওয়া খাদ্যশস্য সঠিক উপকারভোগীর কাছে সঠিক পরিমাণে পৌঁছানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ