Prothomalo:
2025-08-01@09:17:17 GMT

কোনো অপরাধী যাতে ছাড় না পায়

Published: 1st, March 2025 GMT

অপরাধীদের ধরতে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ঢাকায় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। সেদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি টের পাবেন।’ গত কয়েক দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে এ কথা জোর দিয়ে বলা যায়, অবনতি হয়নি। এর অর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভাষায়, অপরাধীরা কিছুটা টের পেয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বরাতে প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৭৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ৬৫টি তল্লাশিচৌকি পরিচালনার পাশাপাশি ৫৫০টি টহল দল দায়িত্ব পালন করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে ১৯ দিনে ১১ হাজারের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। 

অভিযান শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই হালনাগাদ খবর জানাচ্ছে ডিএমপি। এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাত তিনটায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে নজির সৃষ্টি করেছিলেন। পরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও রাতে সাংবাদিকদের ডেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছেন।

গত কয়েক দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলেও ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা কমেছে। যে অপরাধীরা পাড়ায় পাড়ায় মানুষের আতঙ্কের কারণ ছিল, তারাই এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে। অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হবে অপরাধীরা যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, খুঁজে বের করে বিচারে সোপর্দ করা।

পবিত্র রমজান মাস প্রায় সমাগত। রোজার সময় কেনাকাটা ও ইফতার, সাহ্‌রি উপলক্ষে রাতে মানুষের চলাচল বাড়বে। ফলে ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির আশঙ্কাও বেশি থাকবে। সে ক্ষেত্রে রোজার মাসে রাতে অভিযানও জোরদার করতে হবে। 

এখানে আরও একটি কথা জরুরি মনে করি। অপরাধীদের কতজন ধরা পড়েছে, কেবল তা নিয়ে অভিযানের সাফল্য নিরূপণ করা যাবে না। যারা ধরা পড়েনি, তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। কোনো এলাকায় অভিযান জোরদার করে কোনো এলাকায় শিথিল করা যাবে না। দেশের সব এলাকায় একযোগে অভিযান পরিচালিত হলে অপরাধীরা ধরা পড়তে বাধ্য। 

অতীতে এ ধরনের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। অনেক সময় দেখা গেছে, সরকার অপরাধী হিসেবে যাদের ধরেছে, তারা ক্ষমতাসীন দলের লোক। এরপর নানা প্রভাব খাটিয়ে তাদের বের করে আনা হয়েছে। যেহেতু বর্তমান সরকার পুরোপুরি অরাজনৈতিক, ফলে তাদের ‘নিজস্ব লোক’ থাকার কথা নয়। প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে। দেখতে হবে যাতে নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার না হয় কিংবা অপরাধ করে কেউ পার পেয়ে না যায়।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি। 

আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হলে অন্তর্বর্তী সরকার যে নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ, সেটা বাস্তবায়ন করাও কঠিন হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাইরে আমরা আরেকজন উপদেষ্টাকেও দেখলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে সবাই এগিয়ে আসবেন আশা করি। অন্তত ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেবল নির্দেশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ না করে টহল তদারকির কাজটি সরেজমিনে দেখতে পারেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত র অপর ধ র সরক র ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা

শেখ হাসিনা সরকার পতনের বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ নৈরাজ্য করতে পারে-এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। সেই চিঠিতে ২৯ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালকে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (রাজনীতিক উইং) এ সংক্রান্ত চিঠিতে এ সময়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ যানবাহন তল্লাশির পরামর্শও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এসবি প্রধান গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা কোনো এক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমরা কোনো বিশেষ দিন-অনুষ্ঠান ঘিরে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ-নির্দেশনা দিয়ে থাকি, এটা আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ।”

আরো পড়ুন:

সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

অধ্যাপক জওহরলাল বসাকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
  • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদাল
  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • জুলাইয়ে মব তৈরি করে ১৬ জনকে হত্যা, অজ্ঞাতনামা ৫১ লাশ উদ্ধার
  • শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
  • ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল, আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে
  • ‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা