বিশ্বখ্যাত স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড ভ্যাসলিন নিয়ে এল নতুন পণ্য ‘গ্লুটা হায়া সিরাম-ইন-লোশন’। গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য গ্লো সিটি’ শীর্ষক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উন্মোচন করা হয় ইউনিলিভার বাংলাদেশের স্কিনকেয়ারের এই নতুন সংযোজন।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের নামকরা ইনফ্লুয়েন্সার, বিউটি এক্সপার্ট এবং তারকা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।

লোশন বললেই আমরা বুঝি, এটি শুধু শীতকালেই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ভ্যাসলিন এবার নতুন পণ্য গ্লুটা হায়া সিরাম-ইন-লোশন বাজারে আনার মাধ্যমে স্কিনকেয়ার জগতে বিশেষ সাড়া ফেলে দিয়েছে। যা সব ধরনের আবহাওয়ায় এবং সারা বছর ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও গ্লোয়িং রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষভাবে তৈরি এই লোশনে আছে অনন্য সিরামের কম্বিনেশন, যা মুখের সঙ্গে আপনার হাত-পায়ের ত্বকেরও যত্ন নেবে। এর ফর্মুলা দ্রুত শোষিত হয়ে ত্বকে ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা নিয়ে এসে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করবে।

সাধারণত সিরাম মুখের যত্নেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু ভ্যাসলিনের আমদানি করা অথেনটিক প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট গ্লুটা হায়া সিরাম-ইন-লোশন ত্বকের প্রতি যত্নশীল গ্রাহক ও ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি, যাঁরা সিরামকে প্রাধান্য দিয়ে স্কিনকেয়ারে আগ্রহী এবং হাত-পায়ের যত্নে সিরামের গুরুত্ব অনুভব করে। এটি এমনভাবে তৈরি, যা সারা শরীরে ব্যবহার করা যায়। গ্লুটা হায়া সিরাম-ইন-লোশনে থাকা শক্তিশালী উপাদান ত্বকের গভীরে কাজ করে ময়েশ্চার লক করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গরম হোক বা শীত—এটি ত্বককে হাইড্রেট রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।

পণ্যটির উন্মোচন অনুষ্ঠানে ইনফ্লুয়েন্সার, বিউটি এক্সপার্ট এবং তারকা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ