ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়ে দেশটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

ইসরায়েলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, ‘গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন।’

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে।

দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাস এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি হলে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নিজেদের কাছে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস।

ওই হুঁশিয়ারি দেওয়ার আগে আজই ইসরায়েল বলেছে, পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে সমর্থন করে তারা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের তরফে এ প্রস্তাব এসেছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে।আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর অনুমোদন ইসরায়েলের৫ ঘণ্টা আগে

প্রস্তাবে হামাসকে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের অর্ধেককে বর্ধিত মেয়াদে যুদ্ধবিরতি শুরুর প্রথম দিনই এবং অবশিষ্টদের স্থায়ী যুদ্ধিবিরতিতে পৌঁছানোর পর মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর বা কাতারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানা যায়নি। দেশগুলো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। চার ঘণ্টার বৈঠকের পর সরকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়।

গত শুক্রবার রাতে হামাস বলে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে, এমন নিশ্চয়তা ছাড়া তারা প্রথম ধাপের কোনো সম্প্রসারণে সম্মত হবে না।

আরও পড়ুনগাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কায়রোতে আলোচনা শুরু২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র প রথম দ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ