দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পাচ্ছেন ২০ কবি-কথাসাহিত্যিক
Published: 2nd, March 2025 GMT
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন; তাদের সম্মানিত করতে বিগত বছরের মতো ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ দেবে দেশ পাবলিকেশন্স। এ লক্ষে পাণ্ডুলিপি আহ্বান করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। আহ্বানে ২ শতাধিক পাণ্ডুলিপি জমা হয়। এরই মধ্য থেকে জুরি বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ে দুই প্রজন্মের দুইজন করে ১০ বিষয়ে ২০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ বছর পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন শাখায় মনোনীত হয়েছেন ২০ গুণীজন। বিজ্ঞপ্তিতে একজন করে দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও পরে ১০টি বিষয়ে ২০ গুণীজনকে পুরস্কার দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় কর্তৃপক্ষ। দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার দেওয়া হবে উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, গবেষণা, মৌলিক প্রবন্ধ, অনুবাদ, থ্রিলার উপন্যাস, নাটক ও কিশোর উপন্যাস, শিশুতোষ গল্প এবং ছড়া বিভাগে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজন হলেন- কবিতায় ‘অর্ধশতদল’ পাণ্ডুলিপির জন্য কবি রহমান হেনরী। ‘হাতিমের শহর’ পাণ্ডুলিপির জন্য ফেরদৌস মাহমুদ। প্রবন্ধে ‘কবিতা নিয়ে আলাপ’র জন্য তারেক রেজা, ‘কথাসাহিত্যে আন্তর্জাতিকতা’র জন্য শাহমুব জুয়েল। উপন্যাস ‘বাউল’র জন্য সৈয়দা আঁখি হক, ‘হেরেমের আধেক চাঁদ’র জন্য মাইনুল ইসলাম মানিক। ছোটগল্প ‘পরিযায়ী প্রাণ’র জন্য রুমা বসু, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’র জন্য নূরে জান্নাত। গবেষণায় ‘গোয়ালগ্রাম গণহত্যা’র জন্য ইমাম মেহেদী এবং ‘চল্লিশের দশকের লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি’র জন্য বঙ্গ রাখাল।
অনুবাদ সাহিত্যে সোহরাব সুমন ও সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি। থ্রিলার উপন্যাসে ‘কাজলরেখা রহস্য’র জন্য বিশ্বজিৎ দাস, ‘পরীতমা’র জন্য ফরিদুল ইসলাম নির্জন। নাটকে ‘পথনাটকগুচ্ছ’র জন্য স্বপন ভট্টাচার্য্য, ‘বুক পকেটে জীবন ও অন্যান্য নাটক’র জন্য আহমেদ তাওকীর। কিশোর উপন্যাস ‘কুটিচাচার গোয়েন্দা অভিযান’র জন্য দীপু মাহমুদ ও ছোটগল্প ‘স্কুলে জাদুকর এসেছিল’র জন্য নুরুল ইসলাম বাবুল। ছড়া উপন্যাসে ‘লাল বক সাদা বক’র জন্য মাসুম আওয়াল। ছড়ার পাণ্ডুলিপি ‘আলোর পাখি নাম জোনাকি’র জন্য দেওয়ান বাদল।
প্রকাশক অচিন্ত্য চয়ন বলেন, ‘জানুয়ারিতে ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত হয়নি। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ‘চেতনায় ঐতিহ্য’ স্লোগানকে ধারণ করে সুনামের সঙ্গেই যুগ পেরিয়ে তেরো বছরে পদার্পণ করেছে ‘দেশ’। এ সময়ের মধ্যেই প্রকাশনা শিল্পে পাণ্ডুলিপির নান্দনিক পরিচর্যায় একটি স্বতন্ত্রধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের সহযাত্রী হতে আমাদের এ প্রয়াস। মার্চ মাসে দেশ সাহিত্য উৎসবে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
এর আগে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন; তাদের পুরস্কার চলতি বছরের সঙ্গে দেওয়া হবে বলে জানান এই প্রকাশক। তিনি আরও জানান, দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কারের জন্য মনোনীত পাণ্ডুলিপি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পাঠানো যাবে না। এমন প্রমাণ মিললে পুরস্কার বাতিল বলে গণ্য হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র উপন য স র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি।
সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।
ঢাকা/এএএম/ইভা