কেন্দ্রীয় চুক্তি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতনবৃদ্ধিসহ আসছে যে সব সিদ্ধান্ত
Published: 2nd, March 2025 GMT
দুই মাস গড়িয়ে তৃতীয় মাসে পা রেখেছে ২০২৫ সাল। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি জাতীয় ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি। চলতি বছরে কোন সংস্করণে কোন ক্রিকেটার কোন ক্যাটাগরিতে থাকছেন অবশেষে তা চূড়ান্তের অপেক্ষায়।
সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুরে বোর্ড মিটিং ডেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মিরপুর শের-ই-বাংলার বোর্ড কার্যালয়ে ১৮তম বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
এতে জাতীয় ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা ও ক্রিকেটারদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এবারের মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডার মধ্যে বেশ কয়েকটিই জাতীয় দল সম্পর্কিত।
আরো পড়ুন:
জয় শাহের সাথে সাক্ষাতের পর পাকিস্তান যাবেন ফারুক
সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে ফারুকের বৈঠকে কী হয়েছে
ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে জাতীয় নির্বাচক হিসেবে ইস্তফা দিয়েছেন নির্বাচক হান্নান সরকার। তার চাকরি এবং নির্বাচক হিসেবে কে আসবেন তার জায়গায় বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।
জাতীয় দলের দুই কোচ ফিল সিমন্স ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের চুক্তি শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তাদের স্বপদে বহাল রাখা হবে কী না তা আলোচনা হবে মিটিংয়ে।
আলোচ্য সূচির অন্যতম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি। এই মিটিংয়ে বাড়তে পারে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা।
এ ছাড়া পূর্বাচলের স্টেডিয়াম, সিসিডিএমের অন্তর্ভূক্ত ক্লাবের নাম পরিবর্তনসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় বোর্ড মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে।
এর আগে বিসিবির সবশেষ বোর্ডসভা হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। গঠনতন্ত্র সংশোধনীর দাবিতে ক্লাবগুলোর আন্দোলনের পর মিটিংটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?