গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিলের পানিতে পড়ে নসিমনের ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ২ জন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান ২ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজেরগাতি গ্রামের কমল বালার ছেলে সদানন্দ বালা (৩৫) ও কোটালীপাড়া উপজেলার পোলসাইর গ্রামের হরষিত পান্ডের ছেলে নিরঞ্জন পান্ডে (৩৪)।

ওসি সাজেদুর রহমান জানান, একটি নসিমনে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি বোঝাই করে কয়েকজন শ্রমিক শেওড়াবাড়ি থেকে কাজুলিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় নসিমনটি কাজুলিয়া গ্রামে পৌঁছালে চালক অপর একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নসিমনটি বিলের পানিতে গিয়ে পড়ে। এতে নসিমনের নিচে পড়ে পানিতে ডুবে ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিক নিহত হন। অপর দুই শ্রমিক আহত হন।

পরে খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি আরো জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ