কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি মোহাম্মদ মুজিব (১৮) নামের এক অটোরিকশাচালকের। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সৈকতপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে বদরখালী নৌ পুলিশ।

মোহাম্মদ মুজিব চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তাঁর ভাই আবদুল আজিজ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন লাশটি শনাক্ত করেছেন। এর আগে সকালে স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেন। পরিবারের দাবি, এটি হত্যাকাণ্ড।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন বলেন, আজ সকালে মাতামুহুরী নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে পেকুয়া থানা-পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে লাশের অবস্থান নদীতে হওয়ায় পেকুয়া থানা-পুলিশ বদরখালী নৌ পুলিশকে খবর দেয়। নৌ পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ সময় মাতামুহুরী নদীর পাড়ে একটি ব্যাটারিবিহীন ইজিবাইক (স্থানীয় ভাষায় টমটম) দেখা গেছে। এ ইজিবাইকটি চালাতেন মুজিব। পেকুয়া থানা-পুলিশ ইজিবাইকটি জব্দ করেছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মুজিবের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল বলে জানান তাঁর ভাই আবদুল আজিজ। তিনি বলেন, সাতটায় যখন কথা হয়, তখন মুজিব গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দিবাগত রাত ১২টার দিকেও তিনি ঘরে না ফেরায় অনেক জায়গায় খোঁজ নেওয়া হয়। একপর্যায়ে চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকে কয়েকজন খবর দেন মুজিবের লাশ নদীতে ভাসছে।

আবদুল আজিজ অভিযোগ করেন, মাসখানেক আগে পূর্ব বড় ভেওলা এলাকার কয়েকজন পেশাদার চোর মুজিবের ইজিবাইক চুরি করার হুমকি দেয়। একই সঙ্গে তাঁকে মেরে লাশ গুম করবে, এমনও বলেছিল। ওই চোর চক্রটি তাঁর ভাই মুজিবকে মেরে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

বদরখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। লাশটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ খবর দ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ