প্রথমবারের মতো ইয়েমেনে এসি রপ্তানি করল মার্সেল
Published: 4th, March 2025 GMT
প্রথমবারের মতো এসি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করলো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে ইনভার্টার প্রযুক্তির সোলার হাইব্রিড এসি রপ্তানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মার্সেল এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান বলেন, “দেশের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে মার্সেল এসি। দেশের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে মার্সেল। এরই প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে এসি রপ্তানির মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি আমরা।”
তার মতে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ডিজাইন, আন্তর্জাতিক মান এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বৈশ্বিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকবে মার্সেল এসি। ফলে ইয়েমেনের বাজারে মার্সেল ব্র্যান্ডের এসি অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদী।
আরো পড়ুন:
মার্সেল পণ্য কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ
চাঁদপুরকে অনেক ভালোবাসি: আমিন খান
মার্সেল গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ইয়েমেনে উদ্দেশ্যে মার্সেল এসির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়েছে। ইয়েমেনের সুপরিচিত একটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের মাধ্যমে দেশটির বাজারে মার্সেল এসি বিপণন ও বিক্রয় পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
মার্সেল গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, ইয়েমেনে রপ্তানিকৃত মার্সেলের সোলার হাইব্রিড এসিটি সুপার সেভিং মডেলের। এই এসি দিনের বেলায় সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে চলবে। যদি সোলার পাওয়ার কম থাকে, তখন সোলার পাওয়ার থেকে আগে বিদ্যুৎ নিয়ে তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে হাইব্রিড পদ্ধতিতে চলবে এই এসি। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম।এছাড়া রাতের বেলায় সোলার পাওয়ার ব্যাটারির মাধ্যমে বা বৈদ্যুতিক লাইনেও চলবে এটি। এতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে মরিচা প্রতিরোধক কোটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন প্রযুক্তি। এই এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসমুক্ত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট।
ঢাকা/পলাশ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র স ল এস
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল