সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা পোষন প্রকাশ্যে
Published: 4th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইল এনায়েত নগর এলাকার ফ্যাসিবাদের দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা মোমিনুল হক পোষন প্রকাশ্যে হলেও গ্রেপ্তার হয়নি। পোষন ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে সৃষ্টি করছে আতংক। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
অন্যদিকে কয়েক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় নেট, ডিস ও মাদক ব্যবসার আধিপত্য ধরে রাখতে প্রকাশ্যে তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় বিরোধ চরমে উঠেছে। এরফলে যে কোনো সময় বড় ধরণের নাশকতা ও প্রাণহানীন আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, গত ৫ আগষ্টের পূর্বে পশ্চিম এনায়েত নগর এলাকার বাসিন্দা মোবারক মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা পোষন সাবেক এমপি শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান ও কাউন্সিলর রুহুল এর ছত্রছায়ায় গোদনাইল এনায়েত নগর এলাকার অপরাধের সামাজ্র গড়ে তুলেন । কাউন্সিলর রুহুলের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলে আইভীর গুড লিষ্টের তালিকাতে ও স্থান করে নেয় সে।
শামীম-আইভী ব্লকের একনিষ্ঠ হয়ে পোষন এলাকায় অপরাধের রাম রাজত্ব গড়ে তুলে। এলাকায় ছিনতাই, মাদক, ভুমিদস্যুতা, মারামারি এমন কোনো অপকর্ম নেই যা পোষন ও তার বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংগঠিত না হয়েছে।
৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর পোষন ও তার বাহিনীর সদস্যরা আত্নগোপনে গেলেও কিছুদিন পর যুবদল নেতা মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার ও বাদশার ছত্রছায়ায় ফের প্রকাশ্যে আসে। ফিরেই পোষন ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে সৃষ্টি করছে আতংক। আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগীতায় নেমেছে মাঠে।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিভিন্ন মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্বশান্ত করেছে পোষন । তার বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আদিলুর রহমান (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, বিএনপির কয়েকজন নেতার শেল্টারে মোমিনুল হক পোষন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওই নেতারা পোষনকে দিয়ে মাদক, নেট ও ডিস ব্যবসা দখল চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপকর্ম করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে।
তারা বলছেন, পুলিশের খাতায় পোষন পলাতক থাকলেও নারায়ণগঞ্জ শহরের এবং সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তাকে প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে।
তাই এলাকার নাশকতা প্রতিরোধ ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও অসাধু বিএনপি নেতাদের ক্যাডার পোষনকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ এল ক য় এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুমকি ও মে দিবসের সমাবেশ বানচাল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ১০ টি শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় জোট, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির অন্যতম শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন দীর্ঘ ২০ বছর যাবত শ্রমিকদের ন্যায় সংঘত অধিকার আদায়ে দক্ষতা ও সুনামের সংগে দায়িত্ব শীল ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মহান মে দিবস ও আমাদের শ্রমিক ফেডারেশনের সপ্তম জেলা সম্মেলন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চাষাড়া শহীদ মিনারে স্থান বরাদ্দের জনা যথানিয়মে আবেদন করিলে সিটি করোপরেশন লিখিতভাবে ১ মে, বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে এবং আমরা নির্ধারিত ফি প্রদান করি।
তিনি বলেন, অতঃপর বিশিষ্ট কুট ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও কন্ট্রাকটার এবং কমিউনিস্ট পার্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পদে থাকা মোঃ হাফিজ সে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে, গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন তার কথায় চলেছে।
তার ক্ষমতা জোড়ে সমাবেশের স্থান বাতিল করে দিবে। আমাদের জেলার সম্মেলন তিনি অনুষ্ঠিত হতে দিবেন না। আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করে দিবেন। আমাদের জেলা সম্মেলন হতে দিবেন না।
অতঃপর আমরা এবিষয়ে তার সংগে একাধিক বার যোগাযোগ করিলে সে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের নাম ভাঙ্গিয়ে বলে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক জোটের প্রোগাম করবে।
আমরা সাংস্কৃতিক জোটের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের সংগে আলাপ করিয়া জানিতে পাড়ি সাংস্কৃতিক জোট এই ধরনের কোন প্রোগামের ঘোষনা দেয় নাই বা তাহারা সিটি কর্পোরেশনে এই জন্য কোন আবেদন করেন নাই। মোঃ হাফিজ এই বিষয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে।
আমাদের ধারনা সে আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করিয়া উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের শান্তি শৃংক্ষলা অবনতি ঘাটাইতে পারে। এবং সে এখনো একই স্থান বিনা অনুমোদিত সময়ে পোস্টার দিয়া প্রচার চালাইতেছে।
উল্লেখ্য, তাহার এই কর্মকান্ড স্থগিত করার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অবগত করিলেও তাহার কর্মকান্ড স্থগিত করে নাই। যার কারনে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি, জিডি এন্ট্রি নং-১৫৩৯।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি নাজমূল হাসান নান্নু, জেলা কমিটির সভাপতি এফ এম আবু সাঈদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।