তিনদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম। এই বাজারে বর্তমানে ৩০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, ১০ টাকার শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে, টমেটোর কেজি ১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। হঠাৎ সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ।

ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির দামেই বাড়ছে। 

বুধবার (৫ মার্চ) সকালে হিলি বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানের আগের দিন বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫ টাকা। এখন সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। ১২ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজিতে। শসার কেজি ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। একইভাবে বাজারে দাম বেড়েছে ফুলকপি ও বাঁধাকপিরও। এই সবজি দুইটির দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ১৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

খাতুনগঞ্জে ডিসি ও মেয়রের অভিযান, ভোজ্য তেল না পেয়ে ক্ষোভ 

ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার কারসাজি, জড়িতদের ৫৩.

২৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড

বাজারে নতুন পটল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে আমদানিকৃত সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। 

সবজি কিনতে আসা আইজার আলী বলেন, “সুযোগের সবাই সৎ ব্যবহার করে। রোজার দুই দিন আগে যেসব সবজি যে দামে কিনলাম, আজ সেসব সবজির দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এভাবে দাম বাড়লে আমরা সাধারণ মানুষ চলব কি করে?” 

রিকশাচালক গোলাম রাব্বানী বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। দিনে যে সামান্য উপার্জন হয়, তা দিয়েই সংসার চলানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর বাজারে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিন আগেও দাম নাগালের মধ্যে ছিল।” 

হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, “রোজার আগেও আমরা কম দামে প্রতিটি সবজি বিক্রি করেছি। এখন সব সবজি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বিরামপুর-পাঁচবিবি থেকে পাইকারি সবজি কিনছি। সেখানকার বাজারেই দাম বেশি। আসলে পাইকারি বাজারে চাহিদা তুলনায় আমদানি কম। যার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।” 

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সবজ র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ