শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে
Published: 5th, March 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সকল প্রমাণ সরকারের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে শেখ হাসিনাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। শুধু শেখ হাসিনাই নয় তার সহযোগীদেরও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সকল প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। তাকে ফেরত দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভারতের জবাবের অপেক্ষায় আছে।
ড.
প্রধান উপদেষ্টা জানান, হাসিনার ১৫ বছরের শাসনে বিরোধী কণ্ঠ দমনে বন্দিশালা আয়নাঘরে চলে অমানবিক নির্যাতন। এর বীভৎসতা সবাইকে শুধু হতবাকই করেনি নৃশংসতার চরম পর্যায়কে তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সীমান্ত সেনাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স সরক র র ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।