দা হাতে মাকে তাড়া, রক্ষায় এগিয়ে এসে প্রাণ গেল গৃহবধূর
Published: 6th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আনন্দ সরকার নামে এক যুবক দা দিয়ে কুপিয়ে প্রতিবেশী গৃহবধূ মিতু সরকারকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দায়ের কোপে আহত হয়েছেন নারীসহ আরও ৬ জন। আহত দু’জনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মিতু সরকার (৩৬) ইচাইল গ্রামের রণজিত সরকারের স্ত্রী। অভিযুক্ত আনন্দ সরকার (২৮) একই গ্রামের নিমাই সরকারের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে এবং আনন্দ সরকারকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল গ্যারেজ শ্রমিক আনন্দ সরকার কয়েক দিন ধরে চুপচাপ ছিলেন। বাড়ির কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলেননি। বুধবার বিকেলে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে দা চান। দা হাতে পেয়ে মাকে কোপাতে যান। মায়ের চিৎকার শুনে যিনি এগিয়ে আসেন, তাকেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। দায়ের কোপে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী মিতু সরকার নিহত হন। এ সময় এলোপাতাড়ি কোপে তাঁর বাবা নিমাই সরকার, মা মিষ্ট রানি সরকার, প্রতিবেশী দুলাল সরকার, দিগেন সরকার, দিপা সরকার এবং সুমা সরকার আহত হন। তাদের মধ্যে দুলাল ও দিগেন সরকারকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, হত্যার কারণ জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আনন দ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫