১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরলেন নেইমার
Published: 6th, March 2025 GMT
এক বছরের বেশি সময় পর ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন নেইমার। ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের দল ঘোষণা করেছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। মার্চের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচ দুটিতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা।
নেইমার এর আগে ব্রাজিলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি খেলায় ফিরে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে ১৮ রাউন্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ রাউন্ডের খেলা হয়েছে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আছে ১০ দলের মধ্যে পঞ্চম স্থানে। বিশ্বকাপে জায়গা করতে হলে এই অবস্থান ধরে রাখতে হবে সেলেসাওদের। তবে চলতি মাসে ব্রাজিলের যে দুটি ম্যাচ, তাতে দুই প্রতিপক্ষই ওপরের দিকে থাকা দল। আর্জেন্টিনা ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে, কলম্বিয়া ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দুটির আগে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) প্রাথমিকভাবে ৫২ জনের দল ঘোষণা করেছিল। আজ সেই দলটি থেকে ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। দলে নেইমারই বড় সংযোজন। আল-হিলালে বেশির ভাগ সময় চোটের কারণে বাইরে থাকা এই ফরোয়ার্ড সম্প্রতি ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন। সান্তোসের হয়ে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ৩ গোলের পাশাপাশি ৩টিতে সহায়তা করেছেন, ম্যাচসেরা হয়েছেন চার ম্যাচে।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ১২৮ ম্যাচে রেকর্ড ৭৯ গোল করা নেইমার সব ঠিকঠাক থাকলে ২১ মার্চ কলম্বিয়া ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবেন। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ ২৬ মার্চ।
ব্রাজিল স্কোয়াড:গোলকিপার: আলিসন (লিভারপুল), বেন্তো (আল-নাসর), এদেরসন (ম্যানচেস্টার সিটি)
ডিফেন্ডার: ভেনডারসন (মোনাকো), ওয়েসলি, লিও ওরটিস, দানিলো (ফ্ল্যামেঙ্গো), গ্যাব্রিয়েল মাগালহাস (আর্সেনাল), মারকিনিওস (পিএসজি), মুরিলো (নটিংহাম), গিলের্মে অ্যারানা (আতলেতিকো মিনেইরো)।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে (উল্ভস), ব্রুনো গিমেরেস (নিউক্যাসল), গারসন (ফ্ল্যামেঙ্গো), জোয়েলিংতন (নিউক্যাসল)
ফরোয়ার্ড: নেইমার (সান্তোস) এসতোভো (পালমেইরা), জোয়াও পেদ্রো (ব্রাইটন), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা), রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), স্যাভিনিও (ম্যানচেস্টার সিটি), ম্যাথিউস কুনহা (উল্ভস)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না।
গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।”
তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।”
এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।”
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ