জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই।”

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি, পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার করা হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

বসুন্ধরার ঘটনায় সারজিসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত: ছাত্রদল

অস্থিরতার কারণে চলতি বছর নির্বাচন অনুষ্ঠান কঠিন হবে: নাহিদ

তিনি বলেন, “রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম, আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন; তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইনকেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।”

নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, “দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।”

নবগঠিত দলের প্রধান বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, আজকের সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সেসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে নারী নিপীড়নকারীদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, “জুলাই ও আগস্টের সব অংশীজনদের নিয়ে আগামী ১০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে। সারা দেশের সব অংশীজনরা তাতে অংশ নেবেন। পরদিন ১১ মার্চ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ