বায়তুল মোকাররমের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিছিলকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আলটিমেটাম দিয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা এবং তাদের কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এতে আবদুল কাদের এসব কথা বলেন। সমাবেশে ছাত্রনেতারা প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকার সমালোচনা করেন।

কাদের বলেন, বাংলাদেশ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের দেশ, ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী বাকস্বাধীনতা ফিরে এলো, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী। এই নিষিদ্ধ সংগঠন কয়েকদিন আগে ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি করে, এখানে প্রশাসন কী করেছে?

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বলব- ধর্মের মূল ভিত্তি, মূল শিক্ষা ভালোভাবে জানুন। উগ্রবাদের পাল্লায় পরে ধর্মের বিদ্বেষ ছড়াবেন না। দেশকে অস্থিতিশীল করতে আজকে যারা উগ্রবাদের মিছিল করেছে তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। যাদের ছত্রছায়ায় যাদের নীরব ভূমিকার কারণে সন্ত্রাসি নির্বিঘ্নে রাজপথে সংগ্রাম করে সেই মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, এই নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিলের প্রচারণা অনেক দিন আগে আগে চলছিল। মোড়ে মোড়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে প্রচারণা চালালেও কোনো কঠোর ভূমিকা নিতে দেখিনি। গত কয়েকদিন থেকেই দেখছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখছি। মাগুরায় সাত বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ হতে দেখেছি। ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে এ জন্য ইন্টেরিম, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা দায়ী।

জাহিদ বলেন, হিযবুত তাহরিরের সঙ্গে বাংলাদেশের মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

সমাবেশে আরও কথা বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, মুখপাত্র আশরেফা খাতুন, ঢাবির মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে লুক্সেমবার্গও
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের