হোটেল র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ নতুন নতুন আইটেম দিয়ে এবারের ইফতারের বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে। রাখা হয়েছে বিশেষ ইফতার বাজারও। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২ মার্চ ইফতার বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ আয়োজনের লবি ও লেভেল ৩-এর এক্সচেঞ্জ রেস্টুরেন্টের সাজসজ্জার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিদিনের ইফতার বাজারে রয়েছে– চিকেন চাপ, ফ্রাইড ফিশ কাটলেট, বিফ আখনি, মাটন তেহারি, ফ্রাইড ফালাফেল, ল্যাম্ব আদানা কাবাব, মাটন, বিফ ও চিকেন হালিমসহ থাকছে আরও অনেক আইটেম। ডেজার্ট আইটেমেও রয়েছে বৈচিত্র্য। রাখা হয়েছে বাকলাভা, গুলাব জামুন, রেশমি জিলাপি। আরবীয় মিষ্টির মধ্যে থাকছে বাসবুসা, কুনাফা ও বালাল এল শাম। ইফতার বাজার প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে। রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবার রাখা হয়েছে এক্সক্লুসিভ ‘বাই ১ গেট ১’ ও ‘বাই ১ গেট ৩’ অফার, যা নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ডধারীরা উপভোগ করতে পারবেন। ইফতার শেষে ডিনারও রাখা হয়েছে এই তারকা হোটেলে।
ব্যাংক কর্মকর্তা আদিলুর রহমান পরিবার নিয়ে ইফতার করতে এসেছেন হোটেল র্যাডিসন ব্লু বে ভিউতে। তিনি তার ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে ‘বাই ১ গেট ৩’ অফার প্যাকেজ নিয়েছেন। আদিল বলেন, খরচ একটু বেশি হলেও সন্তানদের ইচ্ছেপূরণে র্যাডিসনে ইফতার করতে এসেছি। খাবার খেয়ে মন ভরে গেল।
মাসব্যাপী ‘ইফতার বাজার’-এ রয়েছে প্রায় ৪১ পদের মুখরোচক খাবার। এতে আছে ১ হাজার ৯৫ টাকায় ৫০০ গ্রাম বিফ আখনি, ১ হাজার ৩৯৫ টাকায় ৫০০ গ্রাম মাটন তেহারি, ৯৯৫ টাকায় চিকেন তেহারি, ৩৯৫ টাকায় চিকেন চাপ, ৩৭৫ টাকায় বারবিকিউ চিকেন, ৪৫ টাকায় ২ পিস বেগুনি, ২৯৫ টাকায় চিকেন আফগানি কাবাব, ৩৪৫ টাকায় ফ্রাইড ফিশ কাটলেট, ১৯৫ টাকায় মাশরুম তান্দুরি, ২২৫ টাকায় ফ্রাইড ফালাফেল, ৫৯৫ টাকায় ল্যাম্ব আদানা কাবাব, ১ হাজার ৯৫ টাকায় গুলাব জামুন, ১ হাজার ২৯৫ টাকায় স্পেশাল রেশমি জিলাপি, ৮৯৫ টাকায় এক কেজি ফিরনি, ৯৫ টাকায় বাকরখানি, ৮৭৫ টাকায় এক কেজি মাটন হালিম, ৮২৫ টাকায় এক কেজি বিফ হালিম, ৭২৫ টাকায় এক কেজি চিকেন হালিম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র ট ক য় এক ক জ ইফত র ব জ র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?