রমজানে দীর্ঘ সময় না-খেয়ে থাকার পর ইফতার শরীরকে পুনরায় শক্তি ও উদ্যম ফিরিয়ে দেওয়ার একটি সুযোগ নিয়ে আসে। তবে ইফতারের পরপরই অনেকে ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন এবং জেগে থাকতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়। কেন ইফতারের পর হঠাৎ করে ঘুম পায়? কারণগুলো কী এবং কীভাবে এই ঘুম এড়ানো সম্ভব—তা নিয়ে আজ কথা বলব।
ইফতারের পর ঘুম আসার কারণ
খাবার খাওয়ার পর কিছুটা ক্লান্তি অনুভব করা স্বাভাবিক এবং এতে উদ্বেগের কিছু নেই। চিকিৎসা পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ইমান জামাল ব্যাখ্যা করেন, ‘ইফতারের পর শরীর আরাম অনুভব করে এবং অলসতা বেড়ে যায়, এর মূল কারণ অন্ত্রের হজম প্রক্রিয়া।’ তিনি বলেন, ‘ইফতারে হঠাৎ বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের হজমের গতি দ্রুত বেড়ে যায়। তাই মস্তিষ্ক অন্ত্রের দিকে বেশি পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করে, যাতে হজম প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। ফলে শরীরের অন্যান্য অংশ, বিশেষ করে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই ইফতারের পর আমরা ক্লান্তি ও তন্দ্রাচ্ছন্ন অনুভব করি।’
আরও পড়ুনসুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘মেডিকেল নিউজ টুডে’র তথ্য অনুযায়ী, ইফতারের পর শরীরে ক্লান্তির অন্যতম কারণ হলো ‘সেরোটোনিন’ নামক রাসায়নিকের উৎপাদন বৃদ্ধি, যা ঘুম ও প্রশান্তি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে পাওয়া যায়, এটি সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। আবার কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার শরীরে ট্রিপটোফ্যান শোষণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে যদি ইফতারে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয়, তবে এটি ঘুমের প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্ভাবনা
‘হেলথ লাইন’ ওয়েবসাইটের মতে, কিছু ক্ষেত্রে ইফতারের পর ক্লান্তি বা সারা দিন ঘুম ঘুম অনুভব করা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। যেমন: ডায়াবেটিস, খাবারে অ্যালার্জি, রক্তাল্পতা, থাইরয়েডজনিত সমস্যা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনশয়তানের ধোঁকার কাহিনি০৭ মার্চ ২০২৫ঘুম এড়াতে
১.
২. স্বাস্থ্যকর উপায়ে ইফতার করুন: ইমান জামাল বলেন, ‘ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে করলে আকস্মিক ঘুম ঘুম ভাব এড়ানো সম্ভব।’ তার মতে ইফতারের সঠিক পদ্ধতি হলো:
ক) একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি দিয়ে রোজা ভাঙা,
খ) এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করা
গ) নামাজের পর প্রথমে স্যুপ দিয়ে মূল খাবার শুরু করা।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘খেজুর খেলে শরীর প্রয়োজনীয় ফাইবার ও প্রাকৃতিক চিনি পায়, যা দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। স্যুপ খাওয়া হজমের জন্য উপকারী, কারণ এটি পাকস্থলীকে খাবার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে।’
৩. ‘প্লেট রুল’ অনুসরণ করুন: পুষ্টিবিদরা ইফতারের সময় সুষম খাবার গ্রহণের গুরুত্ব ওপর জোর দেন। পুষ্টিবিদ ইমান জামাল পরামর্শ দেন, ‘কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি, এবং ইফতারের শুরুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সালাদ খাওয়া উচিত।’ তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘সালাদ শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও লবণ সরবরাহ করে, যা দীর্ঘ সময় রোজা রাখার ফলে শরীরে ঘাটতি দেখা দেয়। এটি পাকস্থলী ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেয়, ফলে কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য ভারী খাবার গ্রহণ কমানো সম্ভব হয়।’ তাই তার মতে ‘প্লেট রুল’ অনুসরণ করা যেতে পারে। প্লেট রুল হলো, প্লেটের অর্ধেক অংশ সবজি বা সালাদ দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং বাকি অর্ধেক দুই ভাগে বিভক্ত হবে—এক ভাগ প্রোটিন, আর অন্য ভাগ স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট (যেমন গমের রুটি বা লাল চাল)।
৪. চা-কফি খাওয়ার সময় ঠিক করুন: পুষ্টিবিদদের মতে, ‘ইফতারের পরপরই চা বা কফি পান না করাই ভালো।’ কারণ চা ও কফিতে থাকা ‘ট্যানিন’ উপাদান আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের আয়রন শোষণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, যা দীর্ঘ মেয়াদে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই ইফতারের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর চা বা কফি পান করা উচিত।
আরও পড়ুনযে সাহাবির মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল ০৮ মার্চ ২০২৫৫. ইফতার ধাপে ধাপে করুন: ইফতার করার ধরনও ঘুমের প্রভাব কমাতে পারে। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, ইফতারের মূল খাবার খানিকটা দেরিতে খেলে শরীরকে খাবার ও পানীয় গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করার সুযোগ পাওয়া যায়। যেমন:
ক) প্রথমে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি পান করুন।
খ) তারপর ১০-১৫ মিনিট বিরতি নিন, নামাজ আদায় করুন।
গ) এরপর ধীরে ধীরে ইফতার করুন, শুরুতে হালকা খাবার বা স্যুপ খাওয়া উত্তম।
ধাপে ধাপে ইফতার গ্রহণ করলে হজমতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং শরীরে রক্তপ্রবাহের ভারসাম্য বজায় থাকে, ফলে ইফতারের পর হঠাৎ ঘুম ঘুম ভাব কম হয়।
৬. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়াও ইফতারের পর ঘুম ঘুম ভাবের অন্যতম কারণ। ইফতারের পর শরীর আরাম অনুভব করে এবং পরিপূর্ণ পাকস্থলীর কারণে অলসতা বেড়ে যায়, বিশেষত যদি আগের রাতে ভালো ঘুম না হয়। তাই ঘুমের রুটিন ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনআল্লাহ যেভাবে গুনাহ ক্ষমা করেন১৫ ঘণ্টা আগে৭. ব্যায়াম করতে ভুলবেন না: ব্যায়াম শরীরকে দিনের মধ্যে চাঙা রাখতেও সাহায্য করে। ফলে খাবারের পর অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অলসতা কম হয়। এছাড়া, সক্রিয় না থাকলে শরীর সংরক্ষিত শক্তি জমিয়ে রাখে, যা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে, ব্যায়াম করলে শরীরে শক্তির প্রবাহ নিশ্চিত হয়, যা সারা দিন চাঙা থাকতে সহায়তা করে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা নিশ্চিত করলে রমজানে ইফতারের পর ঘুম ঘুম ভাব কমিয়ে শরীরকে আরও সক্রিয় রাখা সম্ভব।
সূত্র: আল জাজিরা ডট নেট
আরও পড়ুনউয়ায়েস করনির কাহিনি১০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খ ব র গ রহণ পর য প ত অন য ন য গ রহণ র র অন য পর ম ণ সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক
নিরাপত্তার অজুহাতে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ককে। আটক থাকার এক পর্যায়ে তাঁরা অনশন শুরু করেন। ৩২ ঘণ্টা অনশনের পর ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) দুপুরে ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের দুটি গাড়িতে করে যাঁর যাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও আবু বাকের মজুমদারকে ছয় দিন; সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে পাঁচ দিন এবং নুসরাত তাবাসসুমকে চার দিন ডিবি কার্যালয়ে তখন আটক রাখা হয়েছিল। এই ছয় সমন্বয়কের মধ্যে নাহিদ এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। সারজিস, হাসনাত ও নুসরাত এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আবু বাকের এখন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক।
ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার সেই ঘটনা সম্পর্কে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার বোনের বাসার লোকেশন (ঠিকানা) দিয়েছিলাম ডিবিকে। ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) ডিবি তাদের তত্ত্বাবধানেই আমাদের ছয়জনকে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। বোনের বাসায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আমি প্রথমে আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকনগরের একটা জায়গায় দেখা করি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। কীভাবে এক দফার (সরকার পতনের) ঘোষণায় যাওয়া যায়, সে বিষয়েও সেদিন আমরা চিন্তা করি।’
সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আওতায় গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয় রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিছু জায়গায় শিক্ষক ও আইনজীবীরা অংশ নেন। তবে কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।
প্রতিবাদ, বিক্ষোভসেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ-মানববন্ধন ও মিছিল করা হয়। পাশাপাশি সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।
‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের কঠোর দমনপ্রক্রিয়া ও গুলিতে ছাত্র-জনতা হত্যা’র প্রতিবাদে ১ আগস্ট বেলা ১১টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে তাঁরা প্রথমে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–সংলগ্ন ইন্দিরা রোডের প্রান্তে সমবেত হন। সেদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্পীরা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
পরে শিল্পীরা ইন্দিরা রোড দিয়ে শোভাযাত্রা করে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের কাছে সমবেত হন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা সেখানে সড়কের পাশে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, যে বর্বর পন্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না।
দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পীদের সমাবেশ থেকে সেদিন শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণগ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়। সমাবেশ থেকে আরও জানানো হয়, শিল্পীরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
সেদিন বিকেলে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, গুলি করে শিশুসহ নির্বিচার মানুষ হত্যার তদন্ত জাতিসংঘের অধীনে করতে হবে।
সেই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) বলেন, হত্যার বিচার করতে হবে। হুকুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।
কূটনীতিকদের ‘ব্রিফ’জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ১ আগস্ট বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়। সেই ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকেরা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান।