রূপগঞ্জে কু-প্রস্তাবে রাজি না হাওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর
Published: 9th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কুপ্রভাবে রাজি না হাওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ কালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফাতেমা (৩৫) রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভূক্তভোগী ফাতেমা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ কালী এলাকার জালাল উদ্দীন আহমেদ বাবুর স্ত্রী।
লিখিত অভিযোগে গৃহবধু ফাতেমা জানান,একই এলাকার মোস্তাফার ছেলে কাউছার (২৭) বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউছার ও তার সহযোগী একই এলাকার হাবুইল্লাহর ছেলে ইমন (২৬),মৃত এমারতের ছেলে আফাজউদ্দিন (৪০) ও নয়ন (২৮) গৃহবধুর বসতবাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্রসহ ২০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমাকে ও আমার মেয়ে ফারজানা জাহিন (১২) কে এই নিয়ে বারাবাড়ি করিলে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, এমন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সৈয়দপুরে লাশ সামনে রেখে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন, মানসিক আঘাতে মৃত্যুর অভিযোগ
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির লাশ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের আমজাদের মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ বসতবাড়িতে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি মোসলেম সরদারের (৬০) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ কারণে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।
অন্যদিকে মামলার বাদী বলেছেন, মোসলেম সরদারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলা বড় মিথ্যাচার। উল্টো বসতঘর পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে তাঁরা নিঃস্ব।
বাঙালীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মণপুর জোতদারপাড়ার মোসলেম সরদারের পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই তসলিম সরদার, ভাতিজা বাবলু সরদার, নাতি মেহেদী হাসান, গৃহবধূ মৌসুমী ও স্থানীয় জহুরুল শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মোসলেম সরদারের পরিবার ও বাছান জোতদার পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৪ ও ১৫ মে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসেন। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে একটা সমাধানে আসেন তাঁরা। কিন্তু ১৮ মে মৃত বাছান জোতদারের ছেলে আবদুল আজিজ ও তাঁর ভাইয়ের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আবদুল আজিজ বাদী হয়ে মোসলেম সরদারসহ তাঁর পরিবারের ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযোগটি একতরফা তদন্ত করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। এতে মোসলেম সরদার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তিনি তিন দিন আগে হার্ট অ্যাটাক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং গতকাল সকালে মারা যান।
এ বিষয়ে আবদুল আজিজ জোতদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা সত্য না মিথ্যা, তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে। আর কারও স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলাই তো বড় মিথ্যাচার। আমাদের দুই পরিবারের ১০ জনকে পেট্রল ছিটিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমরা বেঁচে গেছি। এতে সর্বস্ব হারিয়ে আমরা নিঃস্ব। এর সঠিক বিচার চাই।’