নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করে কমিটি ঘোষণা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন- সৈয়দা মেহের আফরোজ শাঁওলি এবং সহ-মুখপাত্র ফাহমিদা ফাইজা ও মালিহা নামলাহ।
এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন- আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, ঐন্দ্রিলা মজুমদার অর্না, ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা, নাদিয়া রহমান অন্বেষা, জাইবা জাফরিন, মিফতাহুল জান্নাত তাহিয়া, তানজিলা তাসনিম সেতু, জান্নাতুল মাওয়া শ্যামন্তী, প্রিয়াঙ্কা কর্মকার, নাবিলা বিনতে হারুন, আফিয়া ইবনাত সামিহা ও মেহজাবীন পালোয়ান।
ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মুখপাত্র সৈয়দা মেহের আফরোজ শাঁওলি বলেন, “আজ নতুন বাংলাদেশে আমাদের এ রকম একটি জায়গায় দাঁড়াতে হচ্ছে এটা আসলে লজ্জাজনক। তবুও এ লজ্জা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আপনারা জানেন, দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনভাবেই সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।”
তিনি বলেন, “একজন নারীর যে নিরাপত্তা, সেটার জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে এই নতুন বাংলাদেশে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে যেসব কথা বলে যাচ্ছেন, তা নারীর নিরাপত্তার পক্ষে না। বিগত সময়ে রাষ্ট্রের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ যেভাবে মানুষকে পিটিয়েছে, তারা কেন আজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না।”
তিনি আরো বলেন, “একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, এটা শুধু আইনশৃঙ্খলার অবনতি নয়, এটা মূল্যবোধের অবনতি, মানসিক অবনতি। এই অবনতি ঠেকাতেই আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।