সারা দেশে নারী সহিংসতা, হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মব সৃষ্টি করে নারীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, ডাকাতি ইত্যাদি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকায় থাকছে। চলমান ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই নিজেদের দায় অস্বীকার করতে পারে না।

আজ সোমবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি এ রকম ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বলা হয়। দলটি মনে করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যকারিতাকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শক্তি ইতিমধ্যেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রতিরোধকে আমরা স্বাগত জানাই। জনগণের প্রতিরোধী শক্তিই আগামী দিনে বাংলাদেশকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে।’

গণ–অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, নারীরা বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানের নিয়ামক শক্তি, আগামী বাংলাদেশেও তাঁরা নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। আর নারীদের জন্য সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব শক্তির।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে লুক্সেমবার্গও
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের