ফ্যাসিবাদের দোসররা বিএনপিতে ঢুকে বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: শামা ওবায়েদ
Published: 10th, March 2025 GMT
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, শেখ হাসিনা চলে গেছে, ফ্যাসিবাদও চলে গেছে, কিন্তু তাদের দোসররা বিএনপির মধ্যে ঢুকে বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। প্রত্যেকটা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে আমাদের ভেতরে ঢুকে বিবাদ সৃষ্টি করার জন্য। এই ষড়যন্ত্র গভীর ষড়যন্ত্র। সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
সোমবার ফরিদপুরের সালথা সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা রমজান মাসেও বাড়িঘরে থাকতে পারেনি। ঠিকমতো ইফতারিও করতে পারেনি। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে পারেনি। আমরা চাই ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। ফ্যাসিবাদের মতো রাতে ভোট চুরি করতে চাই না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আছাদ মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাসার আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হাসান লাভলু, দপ্তর সম্পাদক আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।