পটুয়াখালীতে রিজিয়া বেগম (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের দক্ষিণ বিঘাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জিয়া বলেন, নিহত রিজিয়ার স্বামী আবদুর খালেক হাওলাদার দিনমজুর ও স্বল্প আয়ের মানুষ। রিজিয়া বেগম ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। ঘটনার তিন দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে নিজের বাড়ি আসেন। ঘটনার দিন স্বামী–স্ত্রী মিলে ইফতার করেন। ইফতারের পর স্বামী বাড়ির পাশের একটি মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ আদায় করে রাতে ঘরে ফিরে দেখেন, তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন। রিজিয়ার দুই ছেলে ঢাকায় থাকেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ‘খুনের ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের কার্যক্রম চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, শিগগিরই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আইনের আওতায় আসবে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ