বগুড়ায় বাবা-ছেলে মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 11th, March 2025 GMT
বগুড়া সদর উপজেলায় বাবা-ছেলে মিলে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি গোপাল চন্দ্র দাসকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আরেক আসামি গোপালের বাবা তুলসী চন্দ্র দাস পলাতক।
মঙ্গলবার র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার উসমান গণি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ঘরে ডেকে ধর্ষণ করে গোপাল ও তার বাবা তুলসী। ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা বিষয়টি জানতে পারেন এবং ৪ মার্চ বগুড়া সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি গোপাল এবং ২ নম্বর আসামি তুলসী। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। র্যাব-১২ ও র্যাব-৫-এর যৌথ অভিযানে সোমবার রাতে গোপালকে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, মুদি দোকানি গোপাল ওই স্কুলছাত্রীকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়েটি দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে তাকে ডেকে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গোপাল ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণ করে তার বাবা তুলসী।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, বাবা-ছেলে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর বখাটে যুবকদের ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলমাস হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। গোপালের বাবাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় খেয়াং সম্প্রদায়ের মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে জামাল হোসেন নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবারের এ ঘটনায় মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোয়াংছড়ি থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মামলা করেছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে ইউসুফ (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে মারধর করে সোমবার রাতে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ১০ লাখ টাকায় মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করেছেন গ্রেপ্তার ইউসুফ ও তার ছেলে। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, মারধরে আহত বৃদ্ধকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
যৌন হয়রানির অভিযোগে চুয়েট শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। গত রোববার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম প্রাণেশ চৌধুরী। তিনি যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। জানা গেছে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন প্রাণেশ।
রাঙামাটি শহরে তিন বছরের এক শিশুকে তার আপন দাদা যৌন নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে পাবনা সদর উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সোমবার আফজাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো, অফিস ও প্রতিনিধি)
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স মব র র উপজ ল য় এ ঘটন য় র কর ছ বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
টানা বর্ষণে বেহাল বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক, খানাখন্দে ভোগান্তি
টানা বর্ষণে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের। মহাসড়কটির একাধিক বাঁকে খানাখন্দের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।
মহাসড়কটিতে চলাচলকারী বাস মালিক সমিতি ও সওজের সূত্র জানা যায়, এই মহাসড়কে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তি বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট রুটের একাধিক চালক ও যাত্রী বলেন, ভারী বর্ষণে সড়কের পিচ নরম হয়ে গাড়ির চাপে উঠে যাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন গর্ত তৈরি হচ্ছে। পটুয়াখালীর কয়েকটি এলাকাসহ কুয়াকাটাগামী মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির এমন বেহাল দশায় অতিষ্ঠ তাঁরা।
শ্যামলী এনআর পরিবহনের চালক কেরামত আলী বলেন, সড়কটিতে এত গর্ত যে স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদেরও দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তুহিন পরিবহন নামে আরেকটি বাসের চালক কাওসার হাওলাদার বলেন, দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নিলে সড়কটি আরও বেহাল হয়ে পড়বে।
সম্প্রতি মহাসড়কটি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতি ৫০ গজ পরপরই খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, সাহেববাড়ি, আমড়াগাছিয়া, পাটুখালী, বান্দ্রা ও পখিয়া এলাকায় এসব গর্তের পরিমাণ বেশি।
বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় এসেছেন জানিয়ে কুয়াকাটাগামী যাত্রী আল আমিন, পটুয়াখালীর পর আর যেন বাস চলছে না। কিছুক্ষণ পর পর ব্রেক কষতে হচ্ছে। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় একদিকে ঝাঁকুনি, অন্যদিকে সময়ও লাগছে বেশি। আর ঝুঁকিও অনেক বেশি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে নির্মিত এই সড়কে পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। মহাসড়কের এই অংশ দেখভাল করে বরগুনা ও পটুয়াখালী দুই জেলার সওজ।
এ ব্যাপারে বরগুনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী কমারেশ বিশ্বাস বলেন, এবার দক্ষিণাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের পিচ আলগা হয়ে যায় এবং যানবাহনের চাকায় তা সরে গিয়ে দ্রুত খানাখন্দ তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমাণ দল দিয়ে জরুরি সংস্কারের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সওজের পটুয়াখালী অঞ্চলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’