যমুনা ব্যাংকে চাকরি, বয়স ৫০ হলেও আবেদন
Published: 12th, March 2025 GMT
বেসরকারি যমুনা ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকে ল অ্যান্ড রিকোভারি ডিভিশনে চিফ ল অফিসার (সিএলও) পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি)/ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদমর্যাদার এই পদের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: চিফ ল অফিসার (সিএলও)
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম ডিগ্রি থাকতে হবে। বার অ্যাট ল স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি থাকতে হবে। আইন পেশায় অন্তত ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে কোনো কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নেতৃত্বের পর্যায়ে অন্তত পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৫০ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
বেতন: অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আকর্ষণীয় বেতন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে পদ ১৭৯১১১ মার্চ ২০২৫আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের যমুনা ব্যাংকের ক্যারিয়ার-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply For Job বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৯ মার্চ ২০২৫।
আরও পড়ুনইউনিসেফের ইয়ং লিডারস প্রোগ্রাম, বয়স ৩০-এর নিচে হলে করুন আবেদন ৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?