ব্যালন ডি’অরের স্বপ্ন ভঙ্গেই কি সালাহর এই কান্না
Published: 12th, March 2025 GMT
মোহামেদ সালাহ লিভারপুলের হয়ে লিগ জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগও হাতে উঠেছে তার। তবে এবারের মৌসুম তার জন্য বিশেষ। যার ব্যাখ্যায় সালাহ জানান, রেডসদের জার্সিতে এটা তার শেষ মৌসুম (সম্ভাব্য) হতে চলেছে। যে কারণে এটা অন্য মৌসুমের চেয়ে বিশেষ। খুব করে লিগ জিততে চাওয়ার কথাও জানান।
শেষ ওই মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন মিশরীয় তারকা। তার দল লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে। চলতি মৌসুমের সম্ভাব্য লিগ জয়ী তারাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে শেষ করেছিল আর্নে স্লটের দল। অতীত ঐতিহ্য, দলের শক্তি ও ফর্ম বিবেচনায় রেডসদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছিল।
তবে ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে লিভারপুল। হারের পরে সালাহ দর্শকদের অভিবাদন জানালেও পরিষ্কার বোঝা যায় যে, তার চোখ ভিজে গেছে। ইউরোপ সেরার লড়াই থেকে এত দ্রুত দলের বিদায় মানতে পারেননি তিনি।
তার কান্নার আরও একটি কারণ আছে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকায় সালাহ ব্যালন ডি’অর পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন। প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারলে এবং নিজের গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারলে তার হাতেই ব্যালন ডি’অর ওঠার সম্ভাবনা বেশি ছিল।
কিন্তু চলতি মৌসুমে সবার চেয়ে বেশি ৩২ গোল ও ২২ গোলে সহায়তা দেওয়া সালাহর দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ায় তার ব্যালন ডি’অরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেল। চলতি মৌসুমে ফিফা ও উয়েফার কোন টুর্নামেন্ট না থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হতে পারে ব্যালন ডি’অরের নির্ধারক।
ব্যালন ডি’অরের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে তিনে ছিলেন রাফিনিয়া। তিনি মৌসুমে ৩০ গোল ও ১৯ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়ায় এবং লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকায় রাফিনিয়া এখন বড় প্রার্থী। ২৯ গোল করে ও পাঁচ গোলে সহায়তা দিয়ে দুইয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লিগ শিরোপা যাত্রার ওপর নির্ভর করবে এমবাপ্পের ব্যালন ডি’অর পাওয়া না পাওয়া।
রাফিনিয়া-এমবাপ্পে পা পিছলালে হ্যারি কেন, জামাল মুসিয়ালা, হুলিয়ান আলভারেজ, উসমান ডেম্বেলে, লওতারো মার্টিনেজদের সুযোগ তৈরি হবে। সেজন্য অবশ্য গোল দেওয়ার সঙ্গে শিরোপা জিততে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।