অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না: জি এম কাদের
Published: 12th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্য করে করে সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। মিছিল, সমাবেশ ও ইফতারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এই সরকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। এই সরকারের কোন নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
বুধবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। জাপা কার্যালয়ে হামলা, ইফতার মাহফিল পণ্ডু করে দেওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর পরিচয়ে।
জি এম কাদের বলেন, অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার করেছিল। বর্তমান সরকারও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। ঢালাওভাবে সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনেরই নিরাপত্তা নেই।
গত চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নেয় জাপা। একতরফা, রাতের ভোট ও ডামি ভোটখ্যাত তিন নির্বাচনে জাপা বিরোধীদল হয় সংসদে। শেখ হাসিনার পতনের পর অতীতের ভূমিকার জন্য জাপারও বিচার দাবি করছে অভ্যুত্থানকারীরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মামলা হয়েছে জাপা নেতাদের বিরুদ্ধেও। অন্তর্বর্তী সরকারও কোথাও ডাকছে না জাপাকে। দলটিও সরকারের সমালোচক হয়ে উঠেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র এম ক দ র সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।