পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় জিম্মি করে রাখা পেশোয়ারগামী ট্রেনে থাকা সব জঙ্গি নিহত হয়েছে। বুধবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য জানিয়েছে।

নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বাহিনী সফলভাবে বিপুল সংখ্যক জিম্মিকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে, যাদের সন্ত্রাসীরা মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল।

ডন অনলাইন জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ১৯০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেছে।

নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই ক্লিয়ারেন্স অপারেশনটি অত্যন্ত সতর্কতা এবং দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয়েছিল, যার ফলে অনেক নিরীহ জীবন রক্ষা পেয়েছে। সন্ত্রাসীদের বর্বরতার শিকার যাত্রীদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

মঙ্গলবার পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৫০ যাত্রীকে জিম্মি করেছে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবিকারী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বুধবার নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছিল, জিম্মি যাত্রীদের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা পরে জঙ্গিরা বসে আছে। এর ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। ওই সময় জানানো হয়, অভিযানে ৩০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। ট্রেনটিতে ৭০ থেকে ৮০ জন জঙ্গি রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ