পাকিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব জঙ্গি নিহত
Published: 12th, March 2025 GMT
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় জিম্মি করে রাখা পেশোয়ারগামী ট্রেনে থাকা সব জঙ্গি নিহত হয়েছে। বুধবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য জানিয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বাহিনী সফলভাবে বিপুল সংখ্যক জিম্মিকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে, যাদের সন্ত্রাসীরা মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
ডন অনলাইন জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ১৯০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই ক্লিয়ারেন্স অপারেশনটি অত্যন্ত সতর্কতা এবং দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয়েছিল, যার ফলে অনেক নিরীহ জীবন রক্ষা পেয়েছে। সন্ত্রাসীদের বর্বরতার শিকার যাত্রীদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
মঙ্গলবার পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৫০ যাত্রীকে জিম্মি করেছে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবিকারী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বুধবার নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছিল, জিম্মি যাত্রীদের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা পরে জঙ্গিরা বসে আছে। এর ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। ওই সময় জানানো হয়, অভিযানে ৩০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। ট্রেনটিতে ৭০ থেকে ৮০ জন জঙ্গি রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫