ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে হবিগঞ্জের সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ১৫৯ জনকে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে।

জানা যায়, মামলার আসামি হবিগঞ্জ-২ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু চিকিৎসার জন্য সে সময় ছিলেন যুক্তরাজ্যে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন শুরুর ৩ মাস আগেই তিনি লন্ডন যান। সেখানে থেকেই জানতে পারেন ঢাকার অবস্থা। অথচ যাত্রাবাড়ী এলাকার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার একাধিক আসামি জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। ৫ আগস্ট সেখানে কী হয়েছে, তা তারা জানেনই না। এ ছাড়া মামলার বাদী টাঙ্গাইল জেলার চরাঞ্চল উপজেলার চরশুয়া গ্রামের আব্দুর রহিম। যার সঙ্গে কোনো পরিচয়ই নেই তাদের। বাদীও তাদের চেনেন না। এসব মামলা মূলত হয়রানির জন্য করা।

স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ইস্যু করে ভুয়া মামলা করা হচ্ছে। আসামি করা হয়েছে নিরীহ মানুষকে। হবিগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি পিযুষ চক্রবর্তী জানান, এসব মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে নির্দোষ ব্যক্তিদের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ দক্ষিণ চীন সাগর ছেড়ে পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে। মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, একে পশ্চিমে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে।

সোমবার সকালে জাহাজটির নতুন গন্তব্য অভিমুখে দেখা গেছে বলে জাহাজের গতিপথে নজর রাখা ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকে দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আগের গতিপথ অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষদিকে রণতরীটির ভিয়েতনামের দানাংয়ে থাকার কথা ছিল, শুক্রবার তাকে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হতো। এখন সে আয়োজন বাতিল হয়েছে বলে এক কূটনীতিকসহ ‍দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।

হ্যানয়ের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘হঠাৎ উদ্ভূত এক জরুরি অপারেশনাল প্রয়োজনে’ রণতরীটির দানাং যাত্রা বাতিল হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকে সাড়া পায়নি।

ইউএসএস নিমিৎজের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজাহাজের বহর কয়েকদিন আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যাকে ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়মিত উপস্থিতির অংশ’ বলছে মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের কমান্ডারের ওয়েবসাইট। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ