Risingbd:
2025-11-03@03:44:28 GMT

ডাস্টবিন সল্পতায় পাবিপ্রবি

Published: 13th, March 2025 GMT

ডাস্টবিন সল্পতায় পাবিপ্রবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) প্রতিদিনই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রচুর বহিরাগত আসেন। তাদের ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন নেই বললেই চলে। এতে প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে ক্যাম্পাসটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, একাডেমিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি করে স্থায়ী ডাস্টবিন এবং মাঠ সংলগ্ন লেকের পাশে ছোট ও মাঝারি চারটি, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সামনে একটি করে ছোট ডাস্টবিন রয়েছে। এছাড়া একাডেমিক ভবনে ও এলিভেটরে কোন ডাস্টবিন পাওয়া যায়নি।

মোছা.

নুরুন্নাহার ইয়াসমিন নুপুর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “ক্যাম্পাসের মাঠ থেকে শুরু করে সব স্থানেই ডাস্টবিনের স্বল্পতা রয়েছে। ফলে চারপাশে ময়লা পড়ে থাকে, যা অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। মেয়েদের ওয়াশরুমগুলোতেও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। ওয়াশরুমের সামনে ও ভেতরের মেঝেতে টিস্যু পড়ে থাকতে দেখা যায়। শ্রেণিকক্ষগুলোতেও  ময়লা ফেলার ঝুড়ি না থাকায় মেঝে ও বারান্দায় অসংখ্য কাগজের টুকরো দেখা যায়। এ সমস্যার দ্রুত নিরসন প্রয়োজন।”

আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, “দিনদিন আমাদের ক্যাম্পাস নোংরা বেশি হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় ডাস্টবিন নেই বললেই চলে। আর যেগুলো আছে সেগুলো সবসময় ময়লা আবর্জনা দিয়ে পূর্ণ থাকে। ফলে সবাই ডাস্টবিনের আশেপাশে ময়লা ফেলে। সেগুলো আবার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, যা চরম দৃষ্টিকটু দেখায়। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।”

তিনি আরো বলেন, “মাঠে প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের ইফতার মাহফিল হচ্ছে। ইফতার শেষে ডাস্টবিনের সংকটে ময়লা মাঠের সাইডে জমা করে রাখা হচ্ছে। ফলে বিভিন্নভাবে ময়লা এদিক সেদিকে চলে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।”

এ বিষয়ে এস্টেট শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার সুজা উদ্দিন বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ডাস্টবিন বসানোর চিন্তা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পৌরসভার বাহিরে হওয়ায় পৌরসভার থেকে সপ্তাহে একদিন ময়লা নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন জায়গায় জমা হচ্ছে। তবে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ