Risingbd:
2025-06-15@22:50:42 GMT

ডাস্টবিন সল্পতায় পাবিপ্রবি

Published: 13th, March 2025 GMT

ডাস্টবিন সল্পতায় পাবিপ্রবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) প্রতিদিনই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রচুর বহিরাগত আসেন। তাদের ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন নেই বললেই চলে। এতে প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে ক্যাম্পাসটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, একাডেমিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি করে স্থায়ী ডাস্টবিন এবং মাঠ সংলগ্ন লেকের পাশে ছোট ও মাঝারি চারটি, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সামনে একটি করে ছোট ডাস্টবিন রয়েছে। এছাড়া একাডেমিক ভবনে ও এলিভেটরে কোন ডাস্টবিন পাওয়া যায়নি।

মোছা.

নুরুন্নাহার ইয়াসমিন নুপুর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “ক্যাম্পাসের মাঠ থেকে শুরু করে সব স্থানেই ডাস্টবিনের স্বল্পতা রয়েছে। ফলে চারপাশে ময়লা পড়ে থাকে, যা অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। মেয়েদের ওয়াশরুমগুলোতেও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। ওয়াশরুমের সামনে ও ভেতরের মেঝেতে টিস্যু পড়ে থাকতে দেখা যায়। শ্রেণিকক্ষগুলোতেও  ময়লা ফেলার ঝুড়ি না থাকায় মেঝে ও বারান্দায় অসংখ্য কাগজের টুকরো দেখা যায়। এ সমস্যার দ্রুত নিরসন প্রয়োজন।”

আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, “দিনদিন আমাদের ক্যাম্পাস নোংরা বেশি হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় ডাস্টবিন নেই বললেই চলে। আর যেগুলো আছে সেগুলো সবসময় ময়লা আবর্জনা দিয়ে পূর্ণ থাকে। ফলে সবাই ডাস্টবিনের আশেপাশে ময়লা ফেলে। সেগুলো আবার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, যা চরম দৃষ্টিকটু দেখায়। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।”

তিনি আরো বলেন, “মাঠে প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের ইফতার মাহফিল হচ্ছে। ইফতার শেষে ডাস্টবিনের সংকটে ময়লা মাঠের সাইডে জমা করে রাখা হচ্ছে। ফলে বিভিন্নভাবে ময়লা এদিক সেদিকে চলে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।”

এ বিষয়ে এস্টেট শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার সুজা উদ্দিন বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ডাস্টবিন বসানোর চিন্তা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পৌরসভার বাহিরে হওয়ায় পৌরসভার থেকে সপ্তাহে একদিন ময়লা নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন জায়গায় জমা হচ্ছে। তবে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

২২ ক্যাডার নিয়ে চলতেন স্বেচ্ছাসেবক দলের জিতু

বগুড়ায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও বাবাকে খুনে অভিযুক্ত জিতু ইসলাম দলীয় প্রভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কথায় কথায় যাকে-তাকে অহেতুক মারধর করতেন। চলতেন ২২ জনের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে। তারা সবাই নানা অপকর্মে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি। তাঁর আয় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা থেকে। গতকাল রোববার এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, জিতু ফুলবাড়ী কারিগরপাড়ার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে। ২০০৩ সালে এলাকায় বালু ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলামকে খুন করেন। সেই মামলায় তাঁর ১৪ বছর সাজা হয়। সাজা খেটে তিন বছর আগে বের হন। এর পর এলাকায় গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। তাঁর বাহিনীতে যে ২২ জন সদস্য, তারা কেউ রাজনৈতিক দলের পদ-পদবিতে নেই। হত্যা মামলা ছাড়াও জিতুর বিরুদ্ধে একটি মাদক ও একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।

ফুলবাড়ীর এক মুদি দোকানি বলেন, জিতু মাঝেমধ্যে তাঁর দোকান থেকে বাকি নিতেন। দু’বছরে বাকির পরিমাণ প্রায় ৪৮ হাজার টাকা হয়। তখন একদিন টাকা চান। এ কারণে জিতু তাঁকে মারধর করে নাকে খত নেন।
বৃন্দাবন এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মাঝেমধ্যে জিতু তাঁর বাহিনী নিয়ে হাজির হতেন। মোটা অঙ্কের চাঁদা চাইতেন। চাঁদার কমপক্ষে অর্ধেক দিয়ে তবে নিস্তার পাওয়া যেত। এ ছাড়া ঈদে সেলামির নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হতো তাঁকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা চান জিতু। না দেওয়ায় দোকানে ককটেল হামলা করেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় আগস্টের পর জিতু বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলাকার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছোট ভাই মিতুলও তাঁর বাহিনীর সদস্য।

জিতু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সহসাধারণ সম্পাদকের পদ পান। সন্ত্রাসী হয়ে দলের পদ পাওয়ায় এলাকায় তাঁকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পদ পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

এলাকার এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জিতুর কারণে আমরা মুখ খুলতে পারি না। সে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে এলাকা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের পদ-পদবি পেয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার নির্যাতনের শিকার অর্ধশতের কম হবে না। তার বখাটেপনার কারণে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হতো না।’
এক বছর আগে থেকে ফুলবাড়ির পাশেই শহরের শিববাটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন জিতু। সেই এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক শাকিল হোসেন। শাকিলের মেয়ে স্থানীয় ভান্ডারী সিটি বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এক মাস আগে ৫২ বছর বয়সী জিতু বিয়ের প্রস্তাব দেন শাকিলের মেয়েকে। বিষয়টি শাকিল জেনে রাগ করেন। জিতুর ওপর চড়াও হন। কিছুতে রাজি না হলে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন জিতু। তাঁর মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতেন। এরই এক পর্যায়ে শনিবার বিকেলে শাকিলকে পিটিয়ে খুন করেন জিতু ও তাঁর বাহিনী।
এ হত্যার ঘটনায় জিতুকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল রোববার বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন শাকিলের স্ত্রী মালেকা খাতুন। পুলিশ শনিবার রাতেই জিতু ও তাঁর সহযোগী মতি এবং বিপ্লবকে আটক করে।

সন্ত্রাসীকে দলের পদ দেওয়ার বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, ‘আমি জানতাম না, সে দলের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে। আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’ শনিবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সই করা বিবৃতিতে জিতু ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, ‘এ মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জোবায়ের খান জানান, গতকাল জিতুসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা শাখা। গতকাল বিকেলে শহরের সাতমাথায় সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ