ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এমপিদের আস্তভাজন শওকত আকবর বন্দরের মালিবাগ এলাকায়  গড়ে তুলে একক  আদিপত্য ও এক সন্ত্রাসী বাহিনী।

আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাবে জমি  দখল,  প্রতারণা, বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি  সহ  নানা অপকর্মে হোতা শওকত আকবর বহাল তবিয়তে।  

হাসিনা ও তার মন্ত্রী- এমপিরা  দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও শওকত আকবর এখনো প্রভাব বিস্তার করে  ভাগিয়ে নিতে  যাচ্ছেন মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক হলেও এলাকায় রয়েছে তার  সন্ত্রাসী বাহিনী।

একক আদিপত্য বিস্তারে অতিষ্ঠ মালিবাগ সহ আশপাশের  ৭-৮ গ্রামের মামুষ। শওকত আকবর  জমি ক্রয়বিক্রয় জাল জালিয়াতি ও অর্থ  আত্নসাতের ঘটনায়  জোসনা নামে এক নারী মানষিক রোগী হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বন্দরের মালিবাগ গ্রামের  আনোয়ার হোসেন প্রধানের ছেলে শওকত আকবর আওয়ামীলীগের দলীয়  পদপদবিতে না থাকলেও সাবেক এমপি শামীম ওসমান, এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশীদ সহ আরো একাধিক নেতা  আমন্ত্রিত অতিথি  হয়ে আসতেন  তার বাড়িতে।  

আওয়ামীলীগের  শীর্ষ  মন্ত্রী এমপিদের আগমনে বেপরোয়া হয়ে উঠে শওকত আকবর। ছোট ভাই  ইমরুল কায়েস ইমনের  নামে গড়ে তুলেছে এক সন্ত্রাসী বাহিনী।  

এ বাহিনী নিয়ন্ত্রণে  জমিদখল,  মাদক কারবারি ও ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড।  পাশ্ববর্তী বটতলা গ্রামের হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলে স্থানীয় বিএনপি কর্মী  মঞ্জু মিয়ার জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করে শওকত আকবর। 

পরে  নিজ ভবনে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে জমির মালিক মঞ্জুকে ডাকাতি মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নেয় শওকত।  কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা সিঙ্গাপুর প্রবাসী কামাল হোসেনের কাছ থেকে  তিন শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রেশন করে শওকত ।  পরে জমির ৯ লাখ  টাকা না  দিয়ে উল্টো সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখালে প্রাণ বাঁচাতে ওই প্রবাসী পালিয়ে যায়। 

মুছাপুর ইউপির মালিবাগ সাবের বাড়ি এলাকার জোসনা বেগমের শেষ সম্বল ৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নিয়ে শওকত আকবর এখন মূল্য পরিশোধ করছে না অভিযোগ নিরীহ জোসনা বেগম তার পরিবারের। বাড়িতে এসে টাকা দিবে এই  বিশ্বাসে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে এখনো তালবাহানা, প্রতারণা  করে আসছে। 

এ ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের বিচার প্রার্থনা করা হয়েছে বলে জোসনা বেগমের ছেলে শাহাদাত মিয়া জানিয়েছেন।  এছাড়াও শওকত আকবরের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অপরাধ কর্মকান্ডের অভিযোগ থাকলেও এগুলো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উল্টো মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  সম্প্রতি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিক মনির হোসেনকে শওকত আকবরের সন্ত্রাসী বাহিনী  হুমকিদমকি ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শওকত আকবরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তিনি  অস্বীকার করেন।  এ বিষয়ে তিতি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপর ধ আওয় ম ল গ মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর

গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে বিমা দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা–সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে বিমা দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।

আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে বিমা দাবি পরিশোধের অনুরোধ জানান বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সব ধরনের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি জানান, গত ৩ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার উত্থাপিত বিমা দাবি নিয়ে সভা হয়। এতে বিমা দাবি নিয়ে বিভিন্ন বিমাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হওয়ায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় কোনো বিমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিমা দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধানটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর
  • পদ স্থগিত নেতার পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিবৃতি, দ্রুত মুক্তি দাবি