বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সামনে এক শিক্ষককে পেটান চাকরিচ্যুত দপ্তরি ও তাঁর স্ত্রী। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন হামলাকারী দম্পতির ছেলে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক এ ঘটনায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দপ্তরিকে গ্রেপ্তার করে।

ফেনীর দাগনভূঞা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম হুমায়ন কবির (৪৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, বিদ্যালয় থেকে ওই দপ্তরিকে চাকরিচ্যুত করার জেরে শিক্ষককে পিটুনি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সরকারি শিশু জরিপ তথ্য হালনাগাদের জন্য বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যান ওই শিক্ষক। দুপুর ১২টার দিকে শ্রেণিকক্ষের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় হঠাৎ স্কুলের চাকরিচ্যুত দপ্তরি হুমায়ন কবির (৪৮), তাঁর স্ত্রী নাহার বেগম (৩৮) এবং ছেলে মো.

রিমন (১৯) অতর্কিতভাবে ওই শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তাঁকে হুমায়ন কবির ও নাহার বেগম পিটুনি দিতে থাকেন এবং পিটুনির ভিডিও ধারণ করেন রিমন। এ সময় শিক্ষকের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে রিমনের ফেসবুক আইডিতে পিটুনির ভিডিওটি আপলোড করা হয়।

এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হুমায়ন কবিরকে গ্রেপ্তার করে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ