কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে আজ (১৪ মার্চ) ইফতার করবেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। সব ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লক থেকে ৭০ জন করে এ সুযোগ পাবেন। 

মোহাম্মদ নবী নামের এক রোহিঙ্গা গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আমাদেরকে সিল করা টোকেন দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের এক জন মাঝির (নেতা) নেতৃত্বে ৭০ জন করে রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দিতে সারিবদ্ধভাবে যাচ্ছেন।”

তিনি আরো বলেন, “এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের মুহূর্ত—আমরা সরাসরি জাতিসংঘের মহাসচিব ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে ইফতার করতে পারব।”

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো.

মিজানুর রহমান বলেছেন, “প্রতি বছর রমজানে জাতিসংঘের মহাসচিব কোনো না কোনো দেশে গিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে ইফতার করেন। সৌভাগ্যবশত, এটি এবার বাংলাদেশে হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব দুস্থ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন এবং এর মাধ্যমে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবেন।”

তিনি আরো বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।”

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ